সৌভিক মজুমদার, কলকাতা : উৎসবের মরসুমে আজ থেকেই দুয়ারে রেশনের পাইলট প্রজেক্ট শুরু হল । আজই সকালে এই প্রকল্প চালু করা নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশে কিছুটা স্বস্তি মেলে রাজ্যের।  উচ্চ আদালত জানিয়ে দেয়, আজ থেকে চালু করা যাবে দুয়ারে রেশন প্রকল্প। বাড়ি গিয়ে রেশন দেওয়ার প্রকল্পে সিলমোহর দেয় আদালত। দুয়ারে রেশন প্রকল্পে লোকের বাড়ি বাড়ি রেশন পৌঁছে দেওয়া নিয়ে আপত্তি জানিয়ে, প্রকল্পের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন কয়েকজন রেশন ডিলার। কারণ , তাঁদের একাংশের অভিযোগ ছিল, বাড়ি বাড়ি রেশন পৌঁছে দেওয়ার জন্য ডিলারদের গাড়ি কিনতে বলা হয়েছে। তার জন্য ১ লক্ষ টাকা ভর্তুকি দেবে সরকার। কিন্তু গাড়ির দামের বাকি ঋণের বোঝা নিতে চাইছে না ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের একাংশ। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই আদালতের দ্বারস্থ হয় তাঁরা। কিন্তু বুধবার আবেদন খারিজ করে দেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। এরপর জেলায় জেলায় শুরু হয়ে যায় দুয়ারে রেশন প্রকল্প। 


বর্তমানে রেশন সামগ্রীর কুইন্টাল প্রতি ডিলারদের ৭৫ টাকা কমিশন দেয় রাজ্য সরকার। তবে ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্পে তা বাড়িয়ে ১৫০ টাকা করার ঘোষণা করা হয়েছে। যদিও ডিলার সংগঠনের একাংশের দাবি, কুইন্টাল প্রতি ২০০ টাকা কমিশন দিতে হবে । যদিও রেশন ডিলার সংগঠনদের অন্য একটি অংশ, রাজ্য সরকারের শর্ত মেনেই বাড়ি বাড়ি রেশন পৌঁছে দিতে প্রস্তুত ছিল শুরু থেকেই। রাজ্যে মোট রেশন ডিলার রয়েছেন ২০ হাজার ২৮৬ জন।

 বুধবার থেকেই দুয়ারে রেশনের পাইলট প্রজেক্ট শুরু হল। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ১৫ শতাংশ রেশন দোকান নির্দিষ্ট করা হয়েছে। সেখান থেকে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাবে রেশন সামগ্রী। খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ জানিয়েছেন, পরীক্ষামূলকভাবে পাইলট প্রজেক্টে খতিয়ে দেখা হবে সুবিধা-অসুবিধা। এরপর সেই অনুযায়ী পরিস্থিতি বিচার করে পুরোদমে চালু করা হবে দুয়ারে রেশন প্রকল্প।


উত্তর ২৪ পরগণায় প্রাথমিকভাবে  ১৭১টি রেশন দোকান থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে রেশন পৌঁছে দেওয়া শুরু হয়েছে। সকাল থেকেই টোটো নিয়ে বেরিয়ে পড়েছেন মধ্যমগ্রাম বীরেশ পল্লির রেশন ডিলার। খাদ্য দফতরের আধিকারিক ও পুলিশের উপস্থিতিতে শুরু হয় দুয়ারে রেশনের পাইলট প্রজেক্টের কাজ।