সোমবার সকাল সাড়ে ১১-টার সময় দলীয় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে রানাঘাট আদালতে পৌঁছন বিজেপি সাংসদ। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে কোর্ট চত্বরে আগাম পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
বিজেপি সাংসদের দাবি, তৃণমূল তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। এটা পুরোপুরি রাজনৈতিক চক্রান্ত।
তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস হত্যা মামলায় মূল অভিযুক্ত অভিজিৎ পুণ্ডারি। সিআইডির সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে দাবি করা হয়, ফোনের কল ডেটা রেকর্ডের সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার আগে ও পরে মূল অভিযুক্ত অভিজিৎ পুণ্ডারি এবং নির্মল ঘোষের সঙ্গে বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের কথাবার্তা হয়।
সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় খুন এবং ১২০ বি ধারায় অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়।
আগাম জামিন পাওয়ার পর ফের একবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তোলেন বিজেপি সাংসদ।
রাজনৈতিক চক্রান্তের অভিযোগ খারিজ করে পাল্টা যুক্তি দিয়েছে তৃণমূলও। দলের দাবি, এর সঙ্গে তৃণমূলের যোগসাজশ নেই।
২০১৮-সালের ৯ ফেব্রুয়ারি, বাড়ির কাছেই সরস্বতী পুজোর অনুষ্ঠানে গুলি করে খুন করা হয় নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস-কে।
অভিজিৎ পুণ্ডারি, সুজিত মণ্ডল এবং নির্মল ঘোষ - এই তিনজনকে হত্যাকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর রানাঘাট আদালতে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দেয় সিআইডি। তাতেই অভিযুক্ত তালিকায় নাম রাখা হয় বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের।