মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান: বিধায়ককে রুপোর মুকুট পরিয়ে সম্বর্ধনা ঘিরে বিতর্ক। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম বর্ধমানে। দলের পক্ষ থেকে রুপোর মুকুট পরিয়ে বিধায়ককে দেওয়া হল সম্বর্ধনা। মূল্যবান উপহার ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। এলাকার মানুষ দলের আর কর্মীরা চাঁদা তুলে মুকুটটি বিধায়ককে উপহার দিয়েছে বলে জানিয়েছেন দলের স্থানীয় নেতারা ।


শনিবার সন্ধ্যায় কুমারডিহি পঞ্চায়েতের জোয়ালভাঙ্গা গ্রামে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে আয়োজন করা হয় একটি সম্বর্ধনা সভা। সেই সভাতেই সংম্বর্ধিত করা হয় স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীকে। গ্রামবাসী ও তৃণমূল কর্মীদের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক ও প্রায় এক কেজি ওজনের একটি রুপোর মুকুট উপহার দেওয়া হয় বিধায়ককে। সম্বর্ধনা সভাতেই বিধায়কের মাথায় সুসজ্জিত রুপোর মুকুটটি পরিয়ে দেন দলের কর্মীরা। বিধায়কে দেওয়া দামি উপহার দেওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। উল্লেখ্য কয়েক বছর আগে তৃণমূল দলের বীরভুমের জেলা সভাপতিকে সোনার মুকুট পরিয়ে সম্বর্ধনা দেওয়া ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। এবার ফের একবার সেই ছবি ধরা পড়ল।


এদিন বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ বাবুকে দামি উপহার দেওয়া নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে এলাকায়। ঘটনা প্রসঙ্গে নরেন্দ্রনাথ বাবু বলেন, ‘এতে বিতর্কের কিছু নেই। গ্রামের লোকজন আর দলের কর্মীরা নিজেরা চাঁদা তুলে ভালবেসে উপহারটি দিয়েছে,তাই আমি সেটি গ্রহণ করেছি।’ উপহার পাওয়া রুপোর মুকুটটি স্থানীয় কালীমন্দিরে অর্পণ করা হবে বলে নরেন্দ্রনাথ বাবু জানান। আয়োজকদের পক্ষে তৃণমূলের স্থানীয় অঞ্চল সভাপতি কিরিটি মুখোপাধ্যায় জানান,  ‘নরেন্দ্রনাথ বাবু একদিকে যেমন বিধায়ক, তেমনি তিনি এই এলাকার বাসিন্দাদের অভিভাবক। তাই তাঁকে এই উপহার দেওয়া হল।’


রুপোর মুকুট উপহার প্রসঙ্গে কিরিটি মুখোপাধ্যায় আরও জানান, সম্বর্ধনায় নতুনত্ব কিছু করার ভাবনা থেকেই এই উদ্যোগ। তিনি জানান রুপোর মুকুটটির জন্য গ্রামের মানুষজন ও দলের কর্মীরা সবাই সাধ্যমত চাঁদা দিয়েছেন। এর মধ্যে অযথা বিতর্ক খোঁজা অনর্থক বলে দাবি করেন তিনি।