আশাবুল হোসেন, সন্দীপ সরকার ও প্রবীর চক্রবর্তী, কলকাতা : ফের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নাম করে, বিচারব্য়বস্থাকে আক্রমণ করলেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, শুভেন্দুকে বলব নাম-পদবী এফিডেভিট করে নিন। কোলের ছেলে পোষ্যপুত্র। পাল্টা, জবাব দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।


ফের বিচারব্য়বস্থাকে বেনজির আক্রমণ, এক্কেবারে বিচারপতির নাম করে নিশানা। আক্রমণাত্মক ভূমিকায় কুণাল ঘোষ। নিশানায় বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। তৃণমূল মুখপাত্র বললেন, ' শুভেন্দুকে বলব নাম-পদবী হলফনামা করে নিন, শুভেন্দুশেখর মান্থা করে নিক না, কোলের ছেলে পোষ্যপুত্র। ' তিনি আরও বলেন, একমাত্র শুভেন্দু অধিকারী সে বলে আমি জাস্টিস রাজাশেখর মান্থার কোর্টে যাব। কেন বলে? কোন কারণে মানসিক অবচেতনেও ব্যক্তি বিচারপতির নাম সামনে আসে?)


DA-র আন্দোলনকারীদের পথে হেঁটে, গ্রুপ ডি-র চাকরিপ্রার্থীরাও হ্যারিকেন হাতে মুখ্যমন্ত্রীর পাড়া দিয়ে মিছিলের কর্মসূচি নিয়েছিলেন। হরিশ মুখার্জি রোডে মিছিল করতে চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টেও দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁরা। তাতে সম্মতি দিয়েছিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। কিন্তু, ডিভিশন বেঞ্চ সেই নির্দেশ খারিজ করে দেয়। এই প্রসঙ্গ তুলে এদিন বিচারপতি মান্থাকে আক্রমণ করেন কুণাল ঘোষ।


 কুণাল ঘোষ বলেন, ' প্রশ্ন তোলার অবকাশ থাকছে। যে রাজাশেখর মান্থা হরিশ মুখার্জি রোডে মিছিলের অনুমতি দেন সেই বিচারপতিকে আর যাই হোক নিরপেক্ষ বিচারপতি বলা যায় না। কারণ হরিশ মুখার্জি রোড কোন ট্রাডিশনাল মিছিলের জায়গা নয়।'


নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত একাধিক মামলায় সম্প্রতি সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। একাধিক মামলায় ইডি কিংবা এনআইএ তদন্তেরও নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। অস্বস্তিতে পড়ছে শাসক দল। এই প্রেক্ষাপটে, বুধবার পাণ্ডবেশ্বরের জনসভা থেকে বিচারব্য়বস্থার একাংশকে নিশানা করলেন অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ও।


এর আগে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'বিচার ব্যবস্থার একাংশকে কাজে লাগিয়ে বাংলায় গত ২৪ মাসে ২৫ টা সিবিআই কেস দিয়েছে। ভারতবর্ষে কোথাও দেয়নি।' 


শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়ের ধাক্কায় এক ব্যক্তির মৃত্যুর অভিযোগের মামলায় এদিন, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বলেন, নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিআরপিএফ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না বলে নির্দেশ দেয় আদালত। মামলা বিচারাধীন হওয়ায়, রাজ্য পুলিশ নোটিস পাঠালেও তাতে সাড়া দেওয়ার প্রয়োজন নেই বলেও নির্দেশ দেন বিচারপতি।


এ বিষয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, ' তদন্তকারী সংস্থা যদি নোটিস পাঠায় তাকে মানা উচিত, সেখানে আদালত যদি বলে দেয় কোনও নোটিস গেলেও মানা দরকার নেই, এটা যদি সত্য হয়ে থাকে, তাহলে এই আদালত পক্ষপাতদুষ্ট মনোভাব নিয়ে আইনকে ফাঁকি দিতে প্ররোচনা দেওয়া শেখাচ্ছেন।' 


এভাবেই রাজনীতির লড়াইয়ের মধ্য়ে বারবার পড়ে যাচ্ছে বিচারব্য়বস্থার একাংশও।


আরও পড়ুন :


হাইপারটেনশন থেকে হতে পারে চোখের ভয়ঙ্কর রোগ, হারাতে পারেন দৃষ্টিও !