সুমন ঘড়াই, কলকাতা: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সুবিধা পরিবারের একাধিক মহিলা পাবেন বলে গতকালই এই ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। 


তিনি বলেছেন, ২২ হাজার ক্যাম্প, ৩০ লক্ষ আবেদন জমা পড়েছে। ভিড় করার দরকার নেই। আরও ক্যাম্প বাড়াব। দরকার হলে সময়সীমাও বাড়াব। একাধিক মহিলা প্রকল্পের সুবিধা পেতে পারেন।


মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পর এক ধাক্কায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের প্রাপকের সংখ্যা। ১ কোটি ৬০ লক্ষ থেকে বেড়ে হতে চলেছে প্রায় ২ কোটি ৬০ লক্ষ।  


এর ফলে বাজেটও দাঁড়াচ্ছে বিপুল অঙ্কের। প্রথমে এই প্রকল্পে বাজেট ধরা হয়েছিল বছরে ১১ হাজার কোটি টাকা।  


নবান্ন সূত্রে খবর, এখন পরিবারের একাধিক মহিলাকে প্রকল্পের আওতায় আনার ফলে বছরে বাজেট গিয়ে দাঁড়াতে পারে ১৭ থেকে ১৮ হাজার কোটি টাকা। 


এত টাকার জোগান হবে কী ভাবে, এখন সেই চিন্তা অর্থ দফতরের আধিকারিকদের। প্রথমে ঠিক ছিল, পরিবারের প্রধান মহিলা, যাঁর নামে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড রয়েছে, তিনিই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সুযোগ পাবেন। 


এখন মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না থাকলেও পরিবারের অন্য মহিলারাও এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারবেন। 


এর ফলেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সুবিধা প্রাপকদের সংখ্যা ও বাজেট একলাফে অনেকটাই বেড়েছে। এই টাকা জোগাড়ের চিন্তায় ঘুম ছুটেছে সরকারি আধিকারিকদের। 


নবান্ন সূত্রে খবর, বিভিন্ন প্রকল্পে অর্থের সংস্থানের জন্য মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন দফতরের মন্ত্রীদের খরচ কমাতে বলেছেন। কিন্তু আমলামহলে প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে, শুধু দফতরের খরচ কমিয়ে আর কত টাকারই বা সংস্থান হবে?  


এরইমধ্যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফর্ম পূরণের জন্য প্রচুর ভিড় হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত, প্রতিটি বুথে শুধু লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ক্যাম্প করা হবে। আগামী ১ সেপ্টেম্বর এই প্রকল্প চালু হওয়ার কথা। 


এর ফলে এক ধাক্কায় অনেকটাই বাড়তে চলেছে সুবিধা প্রাপকের সংখ্যা ও বাজেট। নবান্ন সূত্রে খবর, প্রকল্পে টাকার জোগাড়ের চিন্তায় ঘুম ছুটেছে সরকারি আধিকারিকদের।