বিশ্বজিৎ দাস, খড়্গপুর: রাজ্যে শতাধিক পুরসভার বকেয়া ভোট কখন হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। যদিও, পুর পরিষেবা নিয়ে শাসক-বিরোধী তাল ঠোকাঠুকি চলছেই।


বৃহস্পতিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুর শহরে স্টেশন লাগোয়া এলাকায় একটি চা-চক্রে অংশ নেন দিলীপ ঘোষ।  চায়ে-পে-চর্চা শেষে রাজ্য বিজেপি সভাপতি পৌঁছে যান খড়গপুর পুরসভার বারো নম্বর ওয়ার্ডের নিমপুরা এলাকার নতুন পল্লিতে। সেখানে তাঁর সাংসদ তহবিলের অর্থে তৈরি রাস্তা ঘুরে দেখেন তিনি।


নিমপুরা গুরুদুয়ারা থেকে সাহাচকে ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক পর্যন্ত রাস্তার দৈর্ঘ্য এক কিলোমিটারের বেশি। মোড়ামের সেই রাস্তা বৃষ্টিতে দফারফা হয়ে গিয়েছিল।   


স্থানীয় সূত্রে খবর, দিলীপ ঘোষের সাংসদ তহবিলের অর্থে প্রায় ২৫০ মিটার রাস্তা ঢালাই করে বাঁধিয়ে দেওয়া হয়েছে।  খড়গপুর পুরসভা পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে তৃণমূলের প্রশাসক মণ্ডলী। যে ১২ নম্বর ওয়ার্ডে দিলীপ ঘোষের সাংসদ তহবিলের টাকায় রাস্তা তৈরি হয়েছে, তার কোঅর্ডিনেটরও তৃণমূলের।


স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, পুরকর্তৃপক্ষ ও কোঅর্ডিনেটরকে বারবার জানিয়েও সমস্যার সুরাহা হয়নি। এক বাসিন্দা বললেন, আগে বহুবার স্থানীয় কাউন্সিলরকে জানিয়েছি রাস্তা নিয়ে এবং আমাদের বিভিন্ন সমস্যার ব্যাপারে। উনি আমাদের কোনও কথা শোনেননি। তারপর দিলীপদাকে জানিয়েছিলাম। উনি বলেছেন আগামী দিনে সবটাই করে দেবেন।


বিজেপি সাংসদের চা-চক্রেও উঠে আসে এই অভিযোগ। একজন দাবি করেন, আমাদের এখানে রাস্তার অবস্থা খুব খারাপ। পুরসভা, কাউন্সিলরকে বলেও কিছু হয় না। উত্তরে বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, আমাদের পুরসভাতে জেতান। আমরা ব্যবস্থা করব।


যদিও রাস্তা নির্মাণ নিয়ে বিজেপি সাংসদকে কৃতিত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল কোঅর্ডিনেটর সরিতা ঝা। তিনি বলেন, এই রাস্তা অনেকটা লম্বা ও চওড়া। কাউন্সিলর ফান্ডে বানানো সম্ভব হয়নি।  দিলীপ ঘোষ খড়্গপুরের বিধায়ক ছিলেন। সাংসদ হয়েছেন। এই এলাকা থেকে ভোট পেয়েছেন। উনার তো অনেকদিন আগেই এই কাজ করে দেওয়া উচিত ছিল। রোড ছোট ও চওড়া কম করেছেন। একজন সাংসদ এত ছোট রাস্তা তৈরি করার জন্য এলাকার লোকেরা অসন্তুষ্ট।


পুরভোট নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকলেও, পুর-পরিষেবা নিয়ে রাজনীতির লড়াই চলছেই।