সিঙ্গুর (হুগলি): বুধবার সকাল থেকে সিঙ্গুরে উৎসবের মেজাজ। উৎসব শুধু দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের ধারে এই মঞ্চে নয়। উৎসব সিঙ্গুরের প্রতিটি ঘরে ঘরে।
সিঙ্গুরবাসীর পাশাপাশি এই উৎসবে শরিক তাঁদের আত্মীয়স্বজনরাও। যাঁরা দূরদূরান্ত থেকে ছুটে এসেছেন এই দিনটার জন্য। কেউ পুরুলিয়া থেকে, কেউ বাঁকুড়া থেকে। দুর্গাপুজোয় যেমন মানুষ কলকাতায় যায়, জগদ্ধাত্রী পুজোয় যেমন মানুষ চন্দননগরে যায়-- ঠিক তেমনই। সিঙ্গুরবাসীর কাছে তো এই পুজোর আগে এই পার্বণ তো কোনও দুর্গাপুজো বা জগদ্ধাত্রী পুজোর থেকে কম নয়!
উৎসব যখন, তখন খাওয়াদাওয়া তো থাকবেই। সিঙ্গুরের প্রতিটি বাড়িতে তাই এদিন এলাহি রান্নাবান্নার আয়োজন। বাজেমেলিয়ার সাঁতরা পরিবারে সকাল থেকেই হেঁসেলে ঢুকে পড়েছেন বাড়ির মহিলারা। কেউ আনাজ কুটছেন। কেউ ব্যস্ত রান্নায়। বাড়ির সদস্যরা বললেন, মমতা কথা রেখেছেন। সিঙ্গুরে উৎসব শুরু। এ এক অন্য উৎসব। হেঁসেলে ঢুকছি।
সাঁতরা বাড়িতে বুধবার আমন্ত্রিতের সংখ্যা তিরিশ। মেনুতে মাছ, মাংস, তরি-তরকারি কিছু বাদ নেই। গৃহকর্ত্রী দীপালি সাঁতরা বললেন, আনন্দ হচ্ছে। এভাবেই আনন্দ করব।
সাঁতরা বাড়ি যখন রান্নার গন্ধে ম ম করছে। তখন পাশের বাড়ি থেকেও ভেসে আসছে হাতা-খুন্তির শব্দ। হেঁসেলে তখন চরম ব্যস্ততা। এই দু’টি বাড়ি প্রতীকী মাত্র। উৎসবমুখর গোটা সিঙ্গুরের প্রতীক।