সিঙ্গুর (হুগলি): সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল, ১২ সপ্তাহের মধ্যে সিঙ্গুরের জমি চাষীদের ফেরত দিতে হবে। নির্ধারিত সেই সময়সীমা শেষ হচ্ছে নভেম্বরের শেষ দিন। কিন্তু তার আগেই জমি ফেরত দিতে তৎপর সরকার।
সূত্রের খবর, ২১ অক্টোবরের মধ্যে জমি হস্তান্তরের কাজ যাতে শুরু হয়, তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই নির্দেশ কার্যকর করার লক্ষ্যে দ্বাদশীতে সিঙ্গুরে গেলেন শিক্ষামন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন মুখ্যসচিব। জেলাশাসকের উপস্থিতিতে প্রকল্প এলাকার ভিতরে বৈঠক করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
বৈঠকের পর বেরিয়ে বলেন, ২১ অক্টোবরের আগে হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হবে। কাজের অগ্রগতিতে আমরা সন্তুষ্ট। ৭৫ একর ছাড়া বাকিটা চাষযোগ্য হয়ে গিয়েছে। প্রথম দিন ২৫ একর। তারপর ২০, ২৫ একর করে দেওয়া হবে।
২৯ সেপ্টেম্বর হুগলির প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ২১ অক্টোবরের মধ্যে সিঙ্গুরের সমস্ত নির্মাণ সরাতে হবে। জমি খালি করে দিতে হবে। কারণ, আমি সুপ্রিম কোর্টের কাছে দায়বদ্ধ।

সূত্রের খবর, এরপরেও জমি ফেরাতে তৎপরতা দেখিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি চান, ২১ অক্টোবরের আগেই সিঙ্গুরে হাতে-হাতে জমি ফেরতের প্রক্রিয়া শুরু হোক।  শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী আমাকে বলেছেন, আমি একুশ তারিখ বলেছি বলে কি ২১ তারিখই হবে, তার আগে কি হবে না?
সরকারি সূত্রে খবর, শেডের অংশ বাদ দিয়ে, ৯৩১ একর জমি হস্তান্তরের জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে। পরচা দেওয়া হয়েছে, ৬ হাজার ৭৬১ জনকে। ক্ষতিপূরণের চেক নিয়েছেন ৩ হাজার ৩০০ জন।
প্রকল্প এলাকার তিনটি পুকুরের মধ্যে একটি ভরাট করা হয়েছে। বাকি দুটি জলাশয় অবিকৃত রাখার কথা ভাবা হয়েছে।
সরকার চাইছে, নভেম্বরের মধ্যেই সিঙ্গুরের জমি হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শেষ করতে। কীভাবে কৃষকরা চাষ শুরু করবেন, তা নিয়ে তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।