মালদা: বাবার সঙ্গে এলাকা দখল নিয়ে বিবাদ। তার জেরে স্কুল পড়ুয়া ছেলেকে অপহরণ করে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ মালদার কালিয়াচকে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জাতীয় সড়ক অবরোধ। পুলিশের ওপর ইটবৃষ্টি, গাড়ি ভাঙচুর। আক্রমণের মুখে রাইফেল ফেলে পাললো পুলিশ। আহত ২ পুলিশকর্মী। ঘটনায় আটক ৭।
এলাকা দখল কাকে বলে, তার কিছুই বুঝত না তেরো বছরের কিশোর। কিন্তু, সেই এলাকা দখলের লড়াই-ই প্রাণ কেড়ে নিল তার। বাবাকে শিক্ষা দিতে ষষ্ঠ শ্রেণির স্কুলপড়ুয়াকে অপহরণ করে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। এ নিয়েই মঙ্গলবার সকাল থেকে অগ্নিগর্ভ মালদার কালিয়াচক। আক্রমণের মুখে পড়ে রাইফেল ফেলে পালাল পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর,  কালিয়াচকের বাসিন্দা ইব্রাহিম শেখের সঙ্গে বকুল শেখের এলাকা দখলের লড়াই দীর্ঘদিনের। ইব্রাহিমের স্ত্রীর দাবি, সোমবার বাড়ির সামনে থেকে তার ছেলেকে তুলে নিয়ে যায় বকুল শেখের দলবল। তারপর তাকে পিটিয়ে খুন করে। রাতে বাড়ি থেকে আধ কিলোমিটার দূরে এনায়েতপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভিতর থেকে উদ্ধার হয় ওই কিশোরের দেহ।
বকুল শেখ ও তাঁর ভাই আজমল শেখ সহ চারজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। কিন্তু, সকাল পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার না হওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। সকাল থেকে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন তারা। পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ক্ষিপ্ত এলাকাবাসী পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি শুরু করে বলে অভিযোগ। ভাঙচুর করা হয় পুলিশের গাড়ি। জখম হন দুই পুলিশকর্মী। পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে সেখানে রাইফেল ফেলেই পালিয়ে যান বাকি পুলিশকর্মীরা।
বেশ কিছুক্ষণ পর আরও পুলিশকর্মীরা এলাকায় যান। দোষীদের গ্রেফতারের আশ্বাস দিয়ে অবরোধ তোলেন। তবে তারপরও অভিযুক্ত চারজনকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। মালদার পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, কিশোরকে খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সাতজনকে আটক করা হয়েছে। এলাকায় পুলিশি টহল চলছে।