কলকাতা: মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আলোচনার দাবি খারিজ সরকারের। প্রতিবাদে বিধানসভায় একযোগে বাম-কংগ্রেসের ওয়াকআউট।


মূল্যবৃদ্ধির ইস্যুতে কংগ্রেসের মিছিলে উত্তর দমদমের সিপিএম বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্যের যোগ দেওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। এরই মাঝে, সেই মূল্যবৃদ্ধি ইস্যুতেই বিধানসভার ভিতরে জোটবদ্ধ ছবি। সংখ্যালঘু উন্নয়ন, অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ থেকে শুরু করে মূল্যবৃদ্ধির মতো ইস্যুগুলি নিয়ে আলোচনা করতে হবে। বিরোধীদের এই দাবি সরকার পক্ষ খারিজ করে দেওয়ায় সোমবার, বাম-কংগ্রেসের বিধায়করা একযোগে ওয়াকআউট করেন।

এ দিন বিধানসভার কার্যবিবরণী সভার বৈঠকে ঠিক হয়, কবে কোন কোন দফতরের বাজেট নিয়ে আলোচনা হবে। সরকার প্রস্তাব দেয়, স্বরাষ্ট্র, শিক্ষা, পূর্ত, পঞ্চায়েত, নগরোন্নয়ন, বিদ্যুতের মতো গুরুত্বপূর্ণ দফতরগুলির বাজেট নিয়ে আলোচনা হবে। তখনই বিরোধীপক্ষ থেকে দাবি করা হয়, সংখ্যালঘু উন্নয়ন, অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরের বাজেট নিয়েও আলোচনা হোক। এছাড়া, পেট্রোল-ডিজেল-সহ জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আলোচনার জন্য বিরোধী দলনেতা ১৮৫ ধারায় একটি বেসরকারি দিনেরও আর্জি জানান। একই সুরে সরব হয় বামেরাও। কিন্তু, সরকার পক্ষ প্রস্তাব খারিজ করে দেয়। তাদের দাবি, গুরুত্বপূর্ণ দফতরগুলির বাজেট নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। মূল্যবৃদ্ধি ইস্যুতে আলোচনার জন্য আলাদা দিন ধার্য করা যাবে না।

দ্বিতীয়ার্ধে যখন বাজেটের উপর আলোচনা হয়, তখনও বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান দাবি করেন, সংখ্যালঘু উন্নয়ন, অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ এবং মূল্যবৃদ্ধির মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে আলোচনা হচ্ছে না। তাই কার্যবিবরণী সভার সিদ্ধান্ত তাঁরা মানেন না। এ নিয়ে ভোটাভুটি হোক। এক্ষেত্রেও বামেরা একই সুরে সরব হয়। বিরোধীদের এই দাবি অবশ্য অধ্যক্ষ খারিজ করে দেন। বিরোধী দলনেতার উদ্দেশে তিনি বলেন, কার্যবিবরণী সভার বৈঠকে আপনাদের প্রতিনিধিরা ছিলেন। তাছাড়া, কার্যবিবরণী সভার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ভোটাভুটি চাইলে সংশোধনী প্রস্তাব দিতে হবে। আপনি তা দেননি। ভোটাভুটি করা যাবে না।

এর প্রতিবাদেই জোট-বার্তা দিয়ে কংগ্রেস ও বামেরা যৌথ ভাবে ওয়াক আউট করে।