দিনটি ছিল শনিবার। মা গিয়েছিলেন পুকুরে। ঠাকুমা স্নান করতে গিয়েছিলেন। পরিবারের দাবি, ফাঁকা বাড়িতে এই ঘরে খাটের ওপর বসে ৬ বছরের বোনের সঙ্গে খেলছিল অঙ্কিতা দলুই।
মায়ের কাপড় নিয়ে খেলা করছিল দুই বোন। তারই একটা প্রান্ত খাটের সঙ্গে লাগানো কাঠর বাটামে। আরেকটি প্রান্ত অঙ্কিতার গলায় আটকে ছিল। সেই ফাঁসই কোনওভাবে আটকে যায় অঙ্কিতার গলায়।
ঘটনার পর ঠাকুমার কাছে ছুটে গিয়েছিল অঙ্কিতার বোন। কিন্তু বলতে পারেনি দিদির কী হয়েছে। ঘরে এসে বড় নাতনির অবস্থা দেখে শিউরে উঠেছিলেন ঠাকুমা। গলায় আটকে যাওয়া শাড়ির ফাঁস খুলে তড়িঘড়ি বালিকাকে নিয়ে যাওয়া হয় ডায়মন্ডহারবার জেলা হাসপাতালে। সেখানে তৃতীয় শ্রেণির ওই ছাত্রীকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা।
কিন্তু কী ধরনের খেলা খেলছিল দুই বোন?
যার জেরে মৃত্যর কোলে ঢলে পড়ল ছোট্ট এক প্রাণ?
পরিবার সূত্রে খবর, দুই বোনেরই টিভিতে কার্টুন দেখার নেশা ছিল। সেখানে কি এমন কিছু দেখেছিল, যা অনুকরণ করতে চেয়েছিল অঙ্কিতা? খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পাশাপাশি, তদন্তকারীরা জানতে চাইছেন, ৮ বছরের অঙ্কিতা কোনও আত্মহত্যার ঘটনা দেখেছিল কি না।