পাথরপ্রতিমা: দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমায় সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বক্তব্য পেশ করতে উঠে বলেন, ‘বুলবুলের সময় রাতভর জেগেছিলাম। বুলবুলের পর এসে সব দেখে গিয়েছি। জেলা প্রশাসন সবার সঙ্গে মিলেমিশে তৎপরতার সঙ্গে কাজ করেছে। মানুষকে সময়ে না সরালে অনেকের মৃত্যু হতে পারত। জীবন বাঁচানো সবচেয়ে জরুরি। বুলবুলে পাকা ধানের ক্ষতি হয়েছে। পুকুর-রাস্তার বহু ক্ষতি হয়েছে। এই জেলাতেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ২০ লক্ষ মানুষ। কেন্দ্রীয় সরকার এক পয়সাও সাহায্য করেনি। ২ লক্ষের বেশি চাষিকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে।’

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘গঙ্গাসাগর মেলায় ৪ হাজার বাস দেওয়া হয়েছে। জলপথেও বাড়তি পরিষেবা। ৪৫ হাজার কৃষককে কৃষক ক্রেডিট কার্ড দেওয়া হয়েছে। আগামীদিনে ঢেলে সাজানো হবে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প। স্বাস্থ্যসাথীতে খরচ ৯০০ কোটিরও বেশি টাকা। ধান বিক্রির চেক নিন নিজের হাতে। ধান বিক্রিতে দালালদের খপ্পরে পড়বেন না। হিন্দু-মুসলমান সবাই এসেছেন, এটাই মনীষীরা বলেছিলেন। এটাই সারে জাহাঁ সে আচ্ছা। ভোটার তালিকায় ভুল থাকলে ঠিক করান। আমরা নাগরিক, কারও দয়ায় থাকব না। আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার কাউকে কাড়তে দেব না। বাইরে থেকে এসে কিছু জিজ্ঞাসা করলে, উত্তর দেবেন না। এখানে এনসিআর, এনপিআর হবে না। এ দেশে জন্মেছি, এ দেশেই বাঁচব। বাংলার ছেলে-মেয়েদের দুশ্চিন্তার কারণ নেই। আমি আপনাদের পাহারাদার হিসেবে থাকব। অধিকার কাড়তে এলে আমার মৃতদেহের উপর দিয়ে যেতে হবে। অধিকার কাড়তে এলে, আমরা ললিপপ খাব না। যতদূর আন্দোলন নিয়ে যাওয়ার, যাব। আমি রাতদিন একাকার করে পাহারা দেব। সজনেখালিতে কবে বাঘ বেরোল, সে খবরও রাখি। ঘরের লোক হিসেবে আপনাদের সঙ্গে আছি, থাকবও।’