সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগণা: মুকুল রায়ের তৃণমূলে যোগদানের পর নোয়াপাড়ার প্রাক্তন বিধায়ক ও বিজেপি নেতা সুনীল সিংয়ের শাসক শিবিরে যোগ দেওয়ার জল্পনা। আর সেই জল্পনার মাঝে রীতিমতো সাংবাদিক বৈঠক করে ঘর ওয়াপসি নিয়ে আপত্তি জানাল স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
নোয়াপাড়ার প্রাক্তন বিধায়ক ও বিজেপি নেতা সুনীল সিংয়ের বক্তব্য ছিল, মুকুল রায় বড়মাপের নেতা। তিনি চলে যাওয়ায় বিজেপির ক্ষতি হবে। বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের এই বেসুরো মন্তব্য ঘিরেই জল্পনা তৈরি হয়। প্রশ্ন ওঠে, তবে তিনিও কি তৃণমূলের পথে পা বাড়াবেন? এরই মাঝে গতকাল সংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূলের গারুলিয়া শহর সভাপতি পঙ্কজ দাস জানান, সুনীল সিংহ তৃণমূলে ফিরতে চাইলে তার বিরোধিতা করা হবে। সুনীল সিংয়ের দাবি, তিনি বিজেপি ছাড়ার কথা বলেননি।
প্রায় সাড়ে তিন বছর বিজেপিতে থাকার পর শুক্রবারই সপুত্র তৃণমূলে ফিরেছেন মুকুল রায়। আর একদা তৃণমূলের নাম্বার টুয়ের ঘরওয়াপসির পর, তার অনুগামীদের তৃণমূলে ফেরা নিয়েও এবার রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয়ে গিয়েছে জোর জল্পনা। বিধানসভা ভোটে নোয়াপাড়া আসনে তৃণমূলের মঞ্জু বসুর কাছে এবার পরাজিত হয়েছেন মুকুল ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত সুনীল সিংহ। তিনি আবার বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ও। কিন্তু মুকুল রায় তৃণমূলে যাওয়ার পর, জল্পনা বাড়িয়েছেন নোয়াপাড়ার প্রাক্তন বিধায়ক।
প্রাক্তন বিধায়ক তথা বিজেপি নেতা সুনীল সিংহ বলেছেন, 'মুকুল রায় বড় মাপের নেতা। তিনি চলে যাওয়ায় বিজেপির ক্ষতি হবে। কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে এসেছিলাম মুকুল রায়ের হাত ধরেই। ভবিষ্যতে কী হবে সময় বলবে।' সুনীল সিংহের মতোই বেসুরো আরেক মুকুল ঘনিষ্ঠ তথা বাগদার বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিত্ দাসও।
এই পরিস্থিতিতে অনেকেরই মনে পড়ে গিয়েছে বিধানসভা ভোটের আগের কথা। সেবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে গিয়ে দেখা করে এসেছিলেন সুনীল সিং এবং বিশ্বজিত্ দাস। সূত্রের খবর, সেদিন মুখ্যমন্ত্রীর পায়ে হাত দিয়ে প্রণামও করেন তাঁরা।