কলকাতা:  রাজ্যে ক্রমেই ভয়াবহ আকার নিচ্ছে করোনার সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে কনটেনমেন্ট জোনে ৩ দিন বাড়ল লকডাউনের মেয়াদ। ১৬ তারিখের বদলে লকডাউন জারি থাকবে ১৯ জুলাই পর্যন্ত। এক বিজ্ঞপ্তিতে জানালেন স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পাশাপাশি আগামীকাল থেকে থেকে উত্তরবঙ্গের ৫টি জেলায়, শহরভিত্তিক লকডাউন শুরু হচ্ছে। লকডাউন কার্যকর হবে জলপাইগুড়ি, মালদা, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ এবং দার্জিলিংয়ের শিলিগুড়িতে শহর এলাকায়। এই জায়গাগুলিতেও ১৯ জুলাই পর্যন্ত  লকডাউন জারি থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।

এদিকে, কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা বাড়ল হাওড়ায়। ৫৬ থেকে বাড়িয়ে জোনের সংখ্যা ৮৫ করল জেলা প্রশাসন। শুরু কড়া নজরদারি। বিশেষ নজর ব্যাঁটরায়। ঘরবন্দি মানুষকে সাহায্য করার জন্য হেল্পলাইন নম্বর চালু হাওড়া পুরসভার।

১৯ জুলাই পর্যন্ত বাড়ল রাজ্যের কনটেনমেন্ট জোনে লকডাউনের মেয়াদ

সংক্রমণের নিরিখে রাজ্যের মধ্যে তৃতীয় স্থানে রয়েছে হাওড়া। পরিস্থিতি সামাল দিতে কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা বাড়িয়েছে জেলা প্রশাসন। চলছে সচেতনতামূলক প্রচার।

সোমবারই হাওড়া শহর, পুরসভা এবং গ্রামীণ এলাকায় মোট ৮৫ টি কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয় জেলা প্রশাসনের তরফে। আগে এই সংখ্যা ছিল ৫৬।

হাওড়া পুর এলাকায় কনটেনমেন্ট জোন ১৭ থেকে বেড়ে হয়েছে ২২।

রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্ত ১৩৯০, কলকাতায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াল সাড়ে দশ হাজার

শ্যামপুর, বাগনান, উলুবেড়িয়া এবং উদয়নারায়ণপুরের বিভিন্ন এলাকা আছে কনটেনমেন্ট জোনের মধ্যে। শ্যামপুর চৌরাস্তার মোড়ে বাজার কমিটির পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে,সকাল সাতটা থেকে দুপুর দুটো পর্যন্ত দোকান খোলা থাকবে।মাস্ক ছাড়া ক্রেতাদের জিনিস বিক্রি করা হবে না।সতর্কতামূলক প্রচার হিসাবে বাজার সমিতির পক্ষ থেকে বিলি করা হচ্ছে লিফলেট।

হাওড়ার পুরকমিশনার ধবল জৈন জানিয়েছেন,পরিস্থিতির ওপর নজর রেখেই এই সিদ্ধান্ত।সাধারণ মানুষের জন্য চালু করা হয়েছে টোল ফ্রি নম্বর ১৮০০১২১৫০০০০০।এই নম্বরে ফোন করলেই সাহায্য করবেন পুরকর্মীরা।