বলাগড়: ‘আমি হাঁপিয়ে যাচ্ছি। সত্যিই আমার খুব কষ্ট হচ্ছে। মনে হচ্ছে, রাজনীতিতে এসে আমি বোধহয় ঠিক করিনি...।’ ফেসবুক-পোস্টে বেসুরো বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক। তবে সেই বে-সুর কি দলে, না রাজনীতিতে? তা নিয়ে শুরু জোর জল্পনা।


রাজনীতিতে হাতেখড়ি কয়েকমাস। কিন্তু এরমধ্যেই নাকি হাঁপিয়ে উঠেছেন বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী! ফেসবুকে তাঁর ওয়ালে পোস্ট করা হয়েছে এমনই কয়েকটি কথা। তবে কী তৃণমূলে বেসুরো মনোরঞ্জন? তিনি অবশ্য এমনটা মানতে নারাজ।  তাঁর দাবি, রাজনীতিতে আসার পর, গুরু দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে, তিনি হাঁপিয়ে উঠেছেন। 


বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী বলছেন, যখন দূরে ছিলাম, যখন তেমন ভাবে কিছু  জানতাম না,  খানিক সুখে ছিলাম। এখন সব দেখে জেনে - সরাসরি যুক্ত হয়ে আর পারছি না। রাতেই ভাল মতো ঘুমাতে পারছি না। কী এক কষ্টে  মাঝরাতে উঠে পায়চারী করতে বাধ্য হই। মমতা অনেক চেষ্টা করছেন।


]

">


সূত্রের খবর, শুক্রবারই বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এ প্রসঙ্গে পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'মনোরঞ্জন ব্যাপারী নিয়ে জানি না। পোস্ট সব সময় ঠিক হয় না। তিনি হাঁপালেন কেন? দেখলাম অক্সিজেন নিয়ে ঘুরছেন।'


বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কথায়, 'রাজ্য সরকারের যা ভূমিকা, তাতে অনেকেই বলবে। ভাল মানুষ। তাই এসব মেনে নিতে পারছেন না। হত দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে এসেছেন মনোরঞ্জন ব্যাপারী। একটা সময়ে, রিক্সা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন।'


তবে, আর পাঁচটা গল্প থেকে মনোরঞ্জনকে পৃথক করে দেয় তাঁর লেখক সত্তা। তাঁর কলমে উঠে আসে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা। সামাজিক প্রেক্ষাপটে লেখা, তাঁর একের পর এক বই, সম্মানিত, পুরস্কৃত হতে থাকে। সেই মানুষটাই তৃণমূলের টিকিটে প্রথমবার ভোটে দাঁড়ান। বিপুল ভোটে জয়ী হন। এবার রাজনৈতিক জীবনে তিনি দাগ কাটতে পারেন কিনা, সেটাই দেখার।