কলকাতা: রাজ্যের পরিবহনকর্মীরা যাতে স্বাস্থ্যসাথী, খাদ্যসাথীর মতো একগুচ্ছ সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পান, তা দেখার জন্য তৈরি করা হল বিশেষ কমিটি। কমিটির চেয়ারম্যান প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র। বুধবার পরিবহন দফতরের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রাজ্যের অনেক পরিবহণকর্মী সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুফল পাচ্ছেন না। তাঁরা যাতে সরকারি সব প্রকল্পের সুবিধা পান তা দেখার জন্য এই কমিটি গঠন করা হল। নব গঠিত কমিটি সরকারের সঙ্গে সম্বন্বয় করে বিষয়টি খতিয়ে দেখবে। সমস্ত সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাবেন পরিবহনকর্মীরা।
সোমবারই দলের  বিভিন্ন ইস্যুতে মদনের মুখে শোনা যায় তীর্যক মন্তব্য। কারও নাম করেই একের পর এক তোপ দাগেন মদন। প্রশান্ত কিশোরের বিরুদ্ধে তো সরাসরিই উগরে দেন ক্ষোভ। তৃণমূলের একের পর এক বিধায়ক যখন প্রশান্ত কিশোর সম্পর্কে অসন্তোষ উগরে দিচ্ছেন, তখন এ প্রসঙ্গেও স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গীতে বাক্যবাণ ছুড়ে দেন মদন। তিনি বলেন, 'পিকে দলের স্ট্রাটেজি ঠিক করবে, আমি কামারহাটির মানুষকে কেমন করে কাছে পাব, সেটা পিকে আমায় শেখাবে?'
তাছাড়াও তাৎপর্যপূর্ণভাবেই মদনের মুখে উঠে আসে লিফট প্রসঙ্গও। তিনি বলেন, 'তবে ক্যাপসুল লিফট আমার বাড়িতে নেই...কথায় কথায়, কলকাতা থেকে মালদা-মুর্শিদাবাদ যাই না...চপারে করে কলকাতা ছাড়ার ভাগ্য আমার নেই'
এখানেই থেমে থাকেননি মদন মিত্র। শুভেন্দু প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, খুবই ভাল সম্পর্ক আমাদের। 'শুভেন্দুকে বলতে চাই, আমি নন্দীগ্রামে দাঁড়াচ্ছি, তুমি কামারহাটিতে দাঁড়া, নির্দল হয়ে, জনপ্রিয়তার খেলা খুব বিপদ, এটা প্রমাণ হয়ে যাবে...দড়ি বেশি টানতে নেই ছিঁড়ে যায়'
তৃণমূলকে বিঁধে তিনি বলেন, দলে এখন মেক আপ তোলার কাজ চলছে! সম্প্রতি ফেসবুকে চায়ের কাপ হাতে ছবি পোস্ট করেন মদন মিত্র। ছবির ক্যাপশনে লেখা টাইম ফর প্যাক আপ। সেই পোস্টের পর থেকেই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়ে যায় জল্পনা।
একসময় তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের একদম সামনের সারিতে ছিলেন। কিন্তু, সারদাকাণ্ডে গ্রেফতারি, বিধানসভা ভোটে হার...এসবের পর কিছুটা পিছনের সারিতে চলে গেছেন মদন মিত্র। কিন্তু, ভোটের মুখে মুখ খুলে মদন যা বললেন, তা কিন্তু যথেষ্ট ইঙ্গিতবহ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে দলের প্রবীণ নেতা সৌগত রায় বলেন, দল যা ঠিক করে করবে।
ঠিক তার পরই মদনকে দেওয়া হয় নতুন দায়িত্ব। একসময় পরিবহণ দফতর দক্ষভাবে সামলেছেন মদন। এবার রাজ্যের পরিবহনকর্মীরা যাতে স্বাস্থ্যসাথী, খাদ্যসাথীর মতো একগুচ্ছ সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পান, তা নজর রাখার দায়িত্ব দেওয়া হল প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রীকে।