কলকাতা: কাজে এল না পর্ষদের হুঁশিয়ারি, পরীক্ষাকেন্দ্রে একজন বাড়তি পরিদর্শক নিয়োগের দাওয়াই। মালদা থেকে উত্তর দিনাজপুর-- মাধ্যমিকের প্রথম দিনেই চলল দেদার টুকলি। সামাল দিতে রীতিমত হিমসিম খেতে হল পুলিশকে। যদিও, পর্ষদ সভাপতির দাবি, তাঁর কাছে কোনও খবর নেই।
এবারের মাধ্যমিকে ৯০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষার ৪০ শতাংশই মাল্টিপল চয়েস এবং এক নম্বরের সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন। একদিকে, যেমন নম্বর তোলার দেদার হাতছানি, অন্যদিকে তেমনি আশঙ্কা ছিল হল কালেকশনের।
সেই কথা মাথায় রেখেই আগেভাগে সতর্ক হয়েছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রে নিয়োগ করা হয়েছিল একজন করে অতিরিক্তি পরিদর্শক। কিন্তু ২ জেলার ছবি দেখিয়ে দিল সব সতর্কতাই সার! নয়া আদলের মাধ্যমিকেও এড়ানো গেল দেদার নকল সরবরাহ।
মালদার মানিকচক থানার মথুরাপুর বিএসএস হাইস্কুল, মানিকচক হাস্কুল বা কালিন্দি হাইস্কুল-- পরীক্ষা শুরুর মিনিট ৪৫ পরই সব জায়গায় শুরু হয় দেদার নকল সরবরাহ।
কোথাও শৌচাগার দিয়ে বা কোথাও দেওয়াল টপকে। তো কোথাও আবার কার্নিসে বসে। নকল সরবরাহকারীদের দৌরাত্ম্য ঠেকাতে হিমশিম খেল পুলিশ।
উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারে তো গোছা গোছা টুকলি বেরল পরীক্ষার্থীদের মোজা থেকে। জেলায় জেলায় এই ছবি ধরা পড়ার পরেও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নজরে আসেনি কিছুই। পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের দাবি, পরীক্ষা হয়েছে নির্বিঘ্নেই। তিনি এ-ও জানান,
কাছে এরকম (টুকলির) কোনও খবর নেই!
এদিন ছিল প্রথম ভাষার পরীক্ষা। অধিকাংশ পরীক্ষার্থীরই প্রথম ভাষা বাংলা। নতুন সিলেবাসে প্রথম মাধ্যমিক। প্রশ্নপত্র নিয়ে খুশি পরীক্ষার্থীরা। তারা জানায়, ভাল প্রশ্ন হয়েছে। সহজ হয়েছে। ফলে ভাল পরীক্ষা হয়েছে।
পরীক্ষার্থীরা প্রশ্নের ধরন নিয়েও খুশি। কারণ, ৪০ শতাংশই যেখানে মাল্টিপল চয়েস এবং এক নম্বরের সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন। শিক্ষামহলের একাংশের মতে, সেখানে যদি এভাবে নকল সরবরাহ হয়, তাহলে তো মধ্যমেধার ছাত্ররাও সহজে ভাল নম্বর পাবে।
বাংলায় যদি এই হয়, ইংরেজি, অঙ্কে কী হবে? মেধার যথার্থ মূল্যায়ন হবে কী করে? মুড়ি-মিছরির দর তো এক হয়ে যাবে। আশঙ্কা শিক্ষামহলের একাংশের।