জলপাইগুড়ি ও কলকাতা: ময়নাগুড়ির স্কুলে মাধ্যমিকের প্রশ্নফাঁসকাণ্ডে ম্যারাথন শুনানির পরও শুক্রবার কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারল না মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। প্রত্যেকের বক্তব্য খতিয়ে দেখার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানালেন পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়।

নির্ধারিত সময়ের আগে মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র খুলে, শিক্ষকদের দিয়ে উত্তর লিখিয়ে, তা ফার্স্টবয়ের কাছে পৌঁছে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ময়নাগুড়ি সুভাষনগর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক হরিদয়াল রায়ের বিরুদ্ধে।
এই ঘটনায় শুনানির জন্য এদিন পর্ষদের দফতরে ডেকে পাঠানো হয় আটজনকে। তার মধ্যে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক ছাড়াও ছিলেন সেন্টার সেক্রেটারি, পরীক্ষাকেন্দ্রের অফিসার ইন চার্জ, অ্যাডিশনাল ভেনু সুপারভাইজার, জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক এবং পরিচালন সমিতির প্রতিনিধি।

সূত্রের খবর, আলাদা আলাদা করে এদের বয়ান রেকর্ড করা হয়। তারপর কয়েকজনকে একসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করে সেই তথ্য যাচাই করা হয়। সূত্রের দাবি, প্রায় প্রত্যেকের বক্তব্যেই কার্যত এটা উঠে এসেছে, নির্ধারিত সময়ের আগে প্রশ্নপত্র খুলেছেন প্রধান শিক্ষক। তবে তার উদ্দেশ্য কী, সেটা নিয়েই চলছে বিশ্লেষণ।
সূত্রের খবর, প্রধান শিক্ষক তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেন। পাল্টা পর্ষদের তরফে জোরাল তথ্য পেশ করা হয়। কয়েকটি স্টিল ছবিও দেখানো হয়। পর্ষদের তরফে সুভাষনগর হাইস্কুলের পরিচালন সমিতির আরও কয়েকজন সদস্যকে ডেকে পাঠানো হয়েছে।

একদিকে, পর্ষদ যখন এই ঘটনা খতিয়ে দেখছে, তখন সুভাষনগর হাইস্কুলের বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বিশ্বজিৎ রায় নামে স্কুলেরই এক শিক্ষক। যিনি এর আগেই গোটা বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন। প্রধানশিক্ষকের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন স্কুলের এক ভূগোল শিক্ষিকার শ্বশুর। তাঁর দাবি, মাধ্যমিক পরীক্ষার আগে শিক্ষিকাকে দিয়ে জোর করে লেখানো হয় উত্তরপত্র। স্কুলের ফার্স্টবয় তার বাবার সঙ্গে শিক্ষিকার বাড়ি আসে। আসেন অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকও।
সব মিলিয়ে প্রশ্নফাঁসকাণ্ড ঘিরে এখন তোলপাড় জলপাইগুড়ি থেকে কলকাতা।