কলকাতা: নয়া আদলের প্রথম মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ। কৌতূহল ছিল শিক্ষা মহলে, লিখিত পরীক্ষার ৪০ শতাংশই যেখানে মাল্টিপল চয়েস ও ১ নম্বরের সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন, সেখানে নম্বর কতটা উঠবে। দেখা গেল, মাধ্যমিক পরীক্ষার ৩৬ বছরের ইতিহাসে এবারে পাশের হার সর্বাধিক, ৮৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ। গত বছর যা ছিল ৮২ দশমিক ৭৪ শতাংশ। এবার রাজ্যের ফার্স্ট গার্ল বাঁকুড়ার বিবেকানন্দ শিক্ষানিকেতন হাইস্কুলের অণ্বেষা পাইন। মোট নম্বর থেকে কম পেয়েছে মাত্র ১০। ৭০০-র মধ্যে প্রাপ্ত নম্বর ৬৯০। ফল প্রকাশের পরই সোশাল নেটওয়ার্কিং লাইটে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, মাধ্যমিক উত্তীর্ণদের অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। এবিপি আনন্দর মাধ্যমে অণ্বেষাকে শুভেচ্ছা জানান শিক্ষামন্ত্রী।


সার্বিক পাসের হারে এবারও বাকিদের টেক্কা দিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর। ওই জেলায় পাসের হার ৯৬ দশমিক ০৬ শতাংশ। যা গতবারের থেকে প্রায় ৩ শতাংশ বেশি। এখানেই শেষ নয়, ৭টি বিষয়ে রাজ্যে ১ লক্ষ ৩৮ হাজার ৭০১জন এএ গ্রেড পেয়েছে। এদের প্রাপ্ত নম্বর ৯০-এর বেশি। পর্ষদের ব্যাখ্যা, এই নম্বরের বাড়বাড়ন্তের নেপথ্যে নয়া সিলেবাস এবং প্রশ্নের কাঠামো। এই ফলাফলের রেখাচিত্রে জল্পনা তৈরি হয়েছে, এই ধারা বজায় থাকলে কি দিল্লি বোর্ডকেও ছাপিয়ে যাবে মাধ্যমিক উত্তীর্ণরা?  ২০১৬-য় মাধ্যমিকের প্রথম স্থানাধিকারীর প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৯৭ দশমিক ৫৭ শাতাংশ। রাজ্যে আইসিএসই-র প্রথমের প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৯৮ দশমিক ৮ শতাংশ।

মাধ্যমিকের ফলে এবারও জেলার দাপট। প্রথম ১০-এ ৬৮জন। ৭ জন কলকাতার। বাকিরা জেলার। শুধু ফার্স্ট গার্ল অণ্বেষা নয়, প্রথম দশের ৬৮ জনের জন্যে সারি সারি মুখ বাঁকুড়ার। যুগ্ম দ্বিতীয় বাঁকুড়া জেলা স্কুলের মোজাম্মেল হক ও হুগলির রামনগর নুটবিহারী পালচৌধুরী হাইস্কুলের অনির্বাণ খাঁড়া। দু’জনেরই প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৯। তৃতীয় বীরভূমের রামপুরহাট জিতেন্দ্রলাল বিদ্যাভবনের দীপ্তেশ পাল। প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৮। কলকাতায় প্রথম মেধা তালিকায় পঞ্চম স্থানাধিকারী যাদবপুর বিদ্যাপীঠের অরিত্র মণ্ডল। সে পেয়েছে ৬৮৬। পাশের হারে পিছিয়ে থাকলেও ফার্স্ট বয়ের নম্বরের দৌড়ে দিল্লি বোর্ডকে প্রায় ছুঁয়ে ফেলছে মাধ্যমিক। প্রথম বছরের নয়া আদলের মাধ্যমিক কি আগামী দিনে দিল্লি বোর্ডকে টেক্কা দেবে? জল্পনা শুরু।