কলকাতা: জেলায় জেলায় স্বস্তি। কলকাতায় শুধু অস্বস্তি। কলকাতায় যখন কাঠফাটা গরম, বিভিন্ন জেলায় তখন মুষলধারে বৃষ্টি।

সকাল থেকেই জলপাইগুড়ির আকাশ ছিল মেঘলা। বেলা বাড়তেই বাড়ে কালো মেঘের আনাগোনা। এরপর শুরু হয় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি। সকাল থেকে মালদার আকাশও ছিল মেঘাচ্ছন্ন। দুপুর দেড়টা থেকে জেলাজুড়ে ঝাপিয়ে বৃষ্টি নামে। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া। তিন দিন অসহনীয় গরমের পর বৃষ্টি নামায় স্বস্তিতে জেলাবাসী।

শিলিগুড়িতেও সকাল থেকেই আকাশের মুখ ছিল ভার। বেলা গড়াতেই শুরু হয় বৃষ্টি। স্বস্তির বৃষ্টি উত্তর দিনাজপুরেও। রায়গঞ্জ, হেমতাবাদ, করণদিঘি, কালিয়াগঞ্জে সকাল থেকে শুরু হয় বৃষ্টি। স্বস্তির বৃষ্টির মধ্যেই করণদিঘি ও ইটাহারে বাজ পড়ে কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। এদিন দুপুর বারোটা নাগাদ বৃষ্টি নামে কোচবিহারে। আড়াই থেকে তিনঘণ্টা মুষলধারে বৃষ্টি হয় জেলা জুড়ে।

বৃষ্টিতে জল দাঁড়িয়ে যায় মুর্শিদাবাদের বেশ কিছু এলাকায়। দুপুরে মুষলধারে বৃষ্টি হয় আসানসোলেও। হাঁসফাঁস গরমের পর এদিন অনেককেই দেখা গেল বৃষ্টিতে ভিজতে। বৃষ্টিতে ভিজেছে বীরভূমের বোলপুরও। সকাল থেকেই জেলাজুড়ে মেঘলা আকাশ। বেলা গড়াতেই শান্তিনিকেতন-সহ বোলপুরের বিভিন্ন জায়গায় ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি। বীরভূমেও বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে কয়েক জনের। দুপুর থেকে টানা কয়েক ঘণ্টা বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হয় পুরুলিয়াতে। অনেক জায়গায় গাছ পড়ে রাস্তা আটকে যায়। আবার বেশকিছু জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ারও খবর মিলেছে। পুরুলিয়ায় বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে কয়েক জনের। আহত বেশ কয়েকজন।

জেলায় জেলায় যখন স্বস্তির বৃষ্টি, তখন এদিনও প্যাচপ্যাচে গরম কলকাতায়। শুক্রবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল, ৩৭ ডিগ্রি। স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। আলিপুর আবহওয়া অফিস সূত্রে খবর, ঝাড়খণ্ডের ওপর একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। তার জেরে অসম পর্যন্ত একটি নিম্নচাপ অক্ষরেক্ষা তৈরি হয়েছে। এর ফলে আগামী কয়েকদিন বীরভূম, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম বর্ধমান ও উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে কলকাতায় বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।