করুণাময় সিংহ ও সুদীপ চক্রবর্তী, চাঁচল ও রায়গঞ্জ: মালদার চাঁচলে মহানন্দা নদী থেকে বেআইনিভাবে বালি তোলার অভিযোগ পেয়ে তৎপর প্রশাসন। দু’জনকে আটক করল পুলিশ। অন্যদিকে, রায়গঞ্জের কুলিক নদী সংলগ্ন এলাকা থেকে বেআইনিভাবে মাটি কাটার অভিযোগ। খবর পেয়ে অভিযান চালায় ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর।


একদিকে মহানন্দা, অন্যদিকে কুলিক। উত্তরবঙ্গের দুই নদীর চর থেকে বেআইনিভাবে বালি ও মাটি তুলে তা পাচার হয়ে যাচ্ছে। ফলে বিপজ্জনক হয়ে উঠছে নদীঘাটগুলি। স্থানীয় মানুষের দাবি, এর জেরে বাড়ছে দুর্ঘটনা। বাবু সরকার নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেছেন, ‘বালি পাচার হচ্ছে বলেই এত দুর্ঘটনা বাড়ছে।’


অভিযোগ পেয়ে অবৈধ বালি পাচার রুখতে অভিযান চালাল স্থানীয় প্রশাসন। শুক্রবার মালদার চাঁচলের মাধবপুর ঘাট এলাকায় মহানন্দার চরে অভিযান চালান ভূমি ও ভূমিরাজস্ব দফতরের আধিকারিকরা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন মহকুমাশাসক সঞ্জয় পাল এবং চাঁচল থানার পুলিশ আধিকারিকরা। ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়েছে দু’টি ট্রাক্টর। 


আটক হওয়া একটি ট্রাক্টরের চালক সেনাউল শেখের বক্তব্য, ‘মালিক বলেছে, তাই এসেছি।’ 


অন্যদিকে, উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে কুলিক নদীর বাঁধ সংলগ্ন এলাকা থেকেও অবৈধভাবে চলছে মাটি কাটা। প্রশাসন সূত্রে খবর, প্রায় ৪ বিঘা জমির মাটি ইতিমধ্যেই কাটা হয়ে গিয়েছে। এর জেরে বর্ষায় নদীতে জল বড়লে বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। নদী তার গতিপথও পরিবর্তন করতে পারে। মাটি কাটা রুখতে প্রশাসনের আধিকারিকদের নিয়ে নদী তীরবর্তী এলাকায় অভিযান চালান রায়গঞ্জের মহকুমাশাসক। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়ছে মাটি কাটার যন্ত্র ও মাটি ভর্তি একটি ট্রাক্টর।


এ বিষয়ে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের রেভিনিউ ইন্সপেক্টর সুমিত প্রধান জানিয়েছেন, ‘লকডাউনের সুযোগেই এই মাটি কাটার কাজ চলছে। প্রায়  চার বিঘার মাটি কাটা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে। পূর্ণাঙ্গ তথ্য প্রশাসনের কর্তাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।’