কলকাতা: জল্পনা উসকে কুণাল ঘোষের বাড়িতে দেখা করতে গেলেন বিজেপির পরাজিত প্রার্থী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার সাড়ে পাঁচটা নাগাদ আসেন তিনি। আপাতত কুণাল ঘোষের অফিসে বৈঠক করছেন দু-জন। গতকালই সপুত্র তৃণমূলে ফিরেছেন মুকুল রায়ের। দীর্ঘ সাড়ে তিন বছর পর তাঁর এই প্রত্যাবর্তন। তাহলে কি এবার রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও একই পথে হাঁটতে চলেছেন? বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরে আসছেন তিনিও? আপাতত সেই প্রশ্নই ঘুরছে রাজনীতির অন্দরে। 


মুকুল রায়ের দলে প্রত্যাবর্তনের সঙ্গে সঙ্গেই তৃণমূল-ত্যাগী অন্যদেরও 'ঘর ওয়াপসি' নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। যদিও গতকালই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন ভোটের আগে যাঁরা গদ্দারি করেছে তাঁদের দলে ফেরাবে না তৃণমূল। এ প্রসঙ্গে তৃণমূল নেত্রী বলেন, 'গদ্দারদের দলে নেব না।'


এ দিন মমতা আরও বলেন, 'ভোটের সময় মুকুল আমাদের দলবিরোধী একটাও কথা বলেননি। যাঁরা ভোটের সময় গদ্দারি করে বিজেপির হাত শক্তিশালী করতে গিয়েছেন এবং গদ্দারি করেছেন, তাঁদের আমরা নেব না-এটা আমাদের দলের সিদ্ধান্ত। মনে রাখবেন, চরমপন্থী এবং নরমপন্থী আছে। মুকুলের সঙ্গে অনেকেই গেছেন। মুকুল চলে আসায়, তাঁরাও চলে আসতে চাইবেন। কিন্তু, যাঁরা চরমপন্থী, নিম্ন রুচির পরিচয় দিয়েছেন, তাঁদের আমরা নেব না।'


তবে এই 'গদ্দার' তালিকায় কি রয়েছেন রাজীবও? যদিও এই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। বেশ কিছুদিন ধরে বেসুরো ছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। ফেসবুক পোস্টেও বিজেপি বিরোধী সুর ছিল। দিন কয়েক আগেই রাজীবের ফেসবুক পোস্ট ঘিরে জল্পনা ছড়ায়। বিধানসভা ভোটের আগে চার্টার্ড ফ্লাইটে দিল্লি নিয়ে গিয়ে অমিত শাহের বাসভবনে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে দলে যোগদান করিয়েছিল বিজেপি। ভোটে দলের ভরাডুবি এবং নিজের হারের পর সেই বিজেপির বিরুদ্ধেই ক্ষোভ উগরে দেন রাজীব।


শুভেন্দু অধিকারী যখন দিল্লিতে দাবি করছেন, 'বাংলায় ৩৫৬-র চেয়েও খারাপ পরিস্থিতি', তখন তাঁরই সতীর্থ রাজীব ফেসবুকে লিখলেন, 'সমালোচনা তো অনেক হল...মানুষের বিপুল জনসমর্থন নিয়ে আসা নির্বাচিত সরকারের সমালোচনা ও মুখ্যমন্ত্রীর বিরোধিতা করতে গিয়ে কথায় কথায় দিল্লি আর ৩৫৬ ধারার জুজু দেখালে বাংলার মানুষ ভালভাবে নেবে না।'