অভিজিৎ চৌধুরী, মালদা: রাস্তার দু'ধারে ডাস্টবিন থাকা সত্বেও নির্দিষ্ট এলাকায় বাইরেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকে আবর্জনা। চাঁচল শহরের নেতাজি মোড়ের কাছে নোংরা পরিষ্কার করার পাশাপাশি জীবানুনাশক ছড়ানোর কাজ চলছিল আর পাঁচটা দিনের মতোই। কিন্তু তার মাঝেই দেখা গেল এক অন্যরকম ছবি। খোদ মহকুমাশাসক নিজে হাতে আবর্জনা তুলে ফেললেন ডাস্টবিনে। আগাগোড়া দাঁড়িয়ে থেকে তদারকি করলেন ব্লিচিং পাউডার ছড়ানোর কাজ। পাশাপাশি চাঁচল স্ট‍্যান্ডে ফুটপাতের সমস্ত খুচরো ব‍্যবসায়ী থেকে ফল বিক্রেতাদের নির্দিষ্ট ডাস্টবিনের বদলে অন্যত্র নোংরা ফেললে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেই সতর্কবার্তাও দিতে রাখলেন চাঁচলের মহকুমাশাসক সঞ্জয় পাল।


মূলত, গত তিনদিন ধরেই চাঁচলের মূল নিকাশি ব্যবস্থা মরা মহানন্দা নদী সংস্কারের কাজে হাত লাগিয়েছে চাঁচল মহকুমা, ব্লক ও পঞ্চায়েত প্রসাশন। নদী সংস্কারের করতে আবর্জনা ট্রাকে করে তুলে নিয়ে শহরের বাইরে ফেলা হচ্ছে। কিন্তু ওই ট্রাকগুলি থেকেই অনেক নোংরা আবর্জনা রাস্তায় পড়ে দূষিত হচ্ছে এলাকা। দূষণ যাতে না ছড়ায় সেই জন্য রাস্তা সাফাই করে জীবানুনাশক ব্লিচিং পাউডার ছড়িয়ে শহরকে দূষণমুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছেন প্রশাসনের আধিকারিকেরা। এদিন চাঁচল মহকুমাশাসক সঞ্জয় পাল ও চাঁচল ১ নম্বর ব্লকের আধিকারিক সমীরন ভট্টাচার্যের তত্বাবধানে এই কাজ চলে। এদিন মূলত চাঁচল শহরের নেতাজি মোড় থেকে শুরু করে নোংরা আবর্জনা ছড়িয়ে দূষণ ছড়াচ্ছে যে সমস্ত রাস্তায়, সেখানে জীবানুনাশক পাউডার ছড়াতে দেখা যায়।


নিজে হাতে আবর্জনা পরিষ্কারের পাশাপাশি প্রশাসনের তরফে শহরের আনাচে কানাচে দেওয়া ডাস্টবিনগুলিকে সঠিক মতো ব‍্যবহারের নির্দেশ দেন মহকুমা শাসক সঞ্জয় পাল। পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, 'করোনা আবহে সবসময় মাস্ক পরে থাকতেই হবে। প্লাস্টিকে ব্যবহার বন্ধ করার দিকেও পদক্ষেপ করছি আমরা। আর সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ এলাকা জঞ্জালমুক্ত রাখা, তার জন্য ব্যবসায়ী থেকে সাধারণ মানুষ সকলকে অনুরোধ করা হয়েছে যাতে নির্দিষ্ট ডাস্টবিনে ময়লা-আবর্জনা ফেলেন সকলে।'