করুণাময় সিংহ, মালদা: স্বাধীনতার আগের দিন মধ্যরাতে মালদার হবিবপুরে এক সিভিক ভলান্টিয়ারের উপর চড়াও হল দুষ্কৃতীরা। বেধরক মারধর ও হামলা চালিয়ে ওই ভলান্টিয়ারের মোবাইল ফোনও ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। 


ঠিক কী ঘটেছে?


শনিবার মধ্যরাত্রে হবিবপুর থানার কর্মরত সিভিক ভলেন্টিয়ার বাড়ি ফেরার পথে কানতুর্কা কাতলাপুকুর রাজ্য সড়ক মোড়ে দুষ্কৃতী হামলা ও ছিনতাইয়ের কবলে পড়েন এক সিভিক ভলেন্টিয়ার। ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার জানিয়েছে হবিবপুর থানা থেকে ডিউটি করে নিজের বাড়ি কানতুর্কা অঞ্চলের কাদিপুরে ফেরার পথে কাতলা পুকুর রাজ্য সড়ক মোড়ে বেশ কিছু অজানা ব্যক্তি তাঁকে ধরে ফেলে এবং বাস দিয়ে বেধড়ক মারে ও তার মোবাইল ছিনতাই করে নেয়।


এরপর ওই ব্যক্তির আহত অবস্থায় সুযোগ বুঝে ঘটনাস্থল থেকে বুলবুলচন্ডীর দিকে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা, এমনটাই জানান হয়।  বুলবুলচন্ডীর কর্তব্যরত সিভিক ভলেন্টিয়ার দেখতে পেয়ে আহত ভলান্টিয়ারকে বুলবুলচন্ডী আর এন রায় গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করেন। এরপর তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে রবিবার সকাল বেলা তাকে মালদা মেডিকেল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এই ঘটনায় তদন্তে নেমেছে হবিবপুর থানার পুলিশ।


এদিকে সম্প্রতি অফিস করে প্রতারণার ফাঁদ পাতা হয়েছিল মালদার হবিবপুর থানার বুলবুলচন্ডী এলাকায়। অফিস থেকে উদ্ধার করা হয়েছে কম্পিউটার ও বেশকিছু কাগজ ও নথি। সেইসব খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকরা। চাকরির টোপে কারা কারা পা বাড়িয়েছিলেন, তাও দেখা হচ্ছে।    


জানা গিয়েছিল, যুবকদের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে টাকা। গোপন সূত্রে এমনই খবর পেয়ে হবিবপুর থানার পুলিশ বুলবুলচন্ডী এলাকায় ওই অফিসের উপর নজরদারি শুরু করে। পুলিশ জানতে পেরেছে মালদা জেলার চাঁচোলে হরিশ্চন্দ্রপুর বামনগোলা থেকে যুবক-যুবতীরা আসতেন ওই অফিসে। গোপনে সেইসব যুবকদের কাছ থেকে তথ্য হাতায় পুলিশ। পুলিশ আধিকারিকরা জানতে পারেন চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা নেওয়া হচ্ছে ওই অফিসে।