অভিজিৎ চৌধুরী, মালদা : তিনি মহকুমাশাসক। সেই সঙ্গে সামলাতে হচ্ছে পুরসভা প্রশাসকের দায়িত্ব। যে কাজ করতে গিয়ে মালদায় খাটাল উচ্ছেদেও নামলেন SDO। বাজেয়াপ্ত করা হল ১০টি গরু।
দায়িত্ব তাঁর কাঁধে। তাই পথে নামলেন তিনি নিজেই। অবৈধ খাটাল উচ্ছেদ করতে ময়দানে খোদ মালদা সদরের মহকুমাশাসক। ইংরেজবাজারে দেখা গেল যে ছবি। মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ইংরেজবাজার পুরসভার প্রশাসকের দায়িত্বে রয়েছেন, মালদা সদরের SDO তথা মহকুমাশাসক সুরেশচন্দ্র রানো।দীর্ঘদিন ধরেই পুরএলাকায় অবৈধ খাটাল চালানোর অভিযোগ উঠছিল। যেমন ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সরজুপ্রসাদ রোডে, রাস্তা দখল করে এভাবেই রাখা হচ্ছিল গরু। পুরকর্মীদের নিয়ে সেই খাটাল উচ্ছেদে নামেন মহকুমাশাসক। সব মিলিয়ে WBCS অফিসারের নেতৃত্বে মোট ১০টি গরু বাজেয়াপ্ত করা হয়। মালদা (সদর) মহকুমাশাসক সুরেশচন্দ্র রানো বলেছেন, 'লাইসেন্স ছাড়া গরু পোষা যায় না, লাইসেন্স নিতে হয় পুরসভার থেকে, কিন্তু এদের কারও লাইসেন্স নেই।'
কিছুদিন আগে চাঁচলের মহকুমাশাসক সঞ্জয় পাল নিজে হাতে আবর্জনা তুলে ফেলেন ডাস্টবিনে। আগাগোড়া দাঁড়িয়ে থেকে জঞ্জাল পরিষ্কারের কাজের তদারকি করার পাশাপাশি নিজে হাতেই সরান আবর্জনা, করেন ব্লিচিং পাউডার ছড়ানোর কাজও। পাশাপাশি চাঁচল স্ট্যান্ডে ফুটপাতের সমস্ত খুচরো ব্যবসায়ী থেকে ফল বিক্রেতাদের নির্দিষ্ট ডাস্টবিনের বদলে অন্যত্র নোংরা ফেললে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেই সতর্কবার্তাও দেন।
মহানন্দা নদী সংস্কারের করতে আবর্জনা ট্রাকে করে তুলে নিয়ে শহরের বাইরে ফেলা হচ্ছে। কিন্তু ওই ট্রাকগুলি থেকেই অনেক নোংরা আবর্জনা রাস্তায় পড়ে দূষিত হচ্ছে এলাকা। দূষণ যাতে না ছড়ায় সেই জন্য রাস্তা সাফাই করে জীবানুনাশক ব্লিচিং পাউডার ছড়িয়ে শহরকে দূষণমুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছেন প্রশাসনের আধিকারিকেরা। যেখানে চাঁচলের মহকুমাশাসক ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বার্তা দিয়েছিলেন, করোনা আবহে সবসময় মাস্ক পরে থাকতেই হবে। প্লাস্টিকে ব্যবহার বন্ধ করার দিকেও পদক্ষেপ করছি আমরা। আর সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ এলাকা জঞ্জালমুক্ত রাখা, তার জন্য ব্যবসায়ী থেকে সাধারণ মানুষ সকলকে অনুরোধ করা হয়েছে যাতে নির্দিষ্ট ডাস্টবিনে ময়লা-আবর্জনা ফেলেন সকলে।