করুণাময় সিংহ, মালদা: চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা। রীতিমতো অফিস করে প্রতারণার ফাঁদ পাতা হয়েছিল বলে অভিযোগ। সেই অফিস সিল করে এবার ৫ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে মালদায়। মালদার হবিবপুর থানার বুলবুলচন্ডী এলাকার ঘটনা। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ধৃতদের এই মুহূর্তে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। অফিস থেকে উদ্ধার করা হয়েছে কম্পিউটার ও বেশকিছু কাগজ ও নথি। সেইসব খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকরা। চাকরির টোপে কারা কারা পা বাড়িয়েছিলেন, তাও দেখা হচ্ছে।                 

  


চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা চক্র চলছে। যুবকদের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে টাকা। গোপন সূত্রে এমনই খবর পেয়ে হবিবপুর থানার পুলিশ বুলবুলচন্ডী এলাকায় ওই অফিসের উপর নজরদারি শুরু করে। পুলিশ জানতে পেরেছে মালদা জেলার চাঁচোলে হরিশ্চন্দ্রপুর বামনগোলা থেকে যুবক-যুবতীরা আসতেন ওই অফিসে। গোপনে সেইসব যুবকদের কাছ থেকে তথ্য হাতায় পুলিশ। পুলিশ আধিকারিকরা জানতে পারেন চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা নেওয়া হচ্ছে ওই অফিসে। সংস্থাটির বৈধতা নিয়ে বিভিন্ন দফতরে যোগাযোগ করেন পুলিশ আধিকারিকরা। ওই অফিসটি ভুয়ো, নিশ্চিত হওয়ার পরই অভিযান চালায় হবিবপুর থানার পুলিশ। অফিস থেকে গ্রেফতার করা হয় পাঁচ জনকে।


জেলা পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া জানিয়েছেন, ধৃত ৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। শুভঙ্কর সিনহা নামের এক ব্যক্তির নাম উঠে এসেছে। তার খোঁজ করছে পুলিশ। এই ধরনের অফিস জেলায় আরও বেশ কয়েকটি রয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।


এর আগে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগ এসেছিল শহর কলকাতাতেও।  প্রভাবশালী ব্যক্তির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। তাই টাকা দিলেই মিলবে পছন্দমতো সরকারি চাকরি। এমনই অভিযোগ উঠেছিল কলকাতায়। অভিযোগ, মেয়রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা রয়েছে বলে দাবি করেছিলেন কাশীপুরের বাসিন্দা অয়ন বড়ুয়া। লালবাজার, বিকাশ ভবন ও স্বাস্থ্য ভবনে পছন্দমতো চাকরি পাইয়ে দেওয়ার টোপ দিয়ে চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছিল। এই নিয়ে কাশীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন চাকরিপ্রার্থীরা।