করুণাময় সিংহ, মালদা : বাড়িতে বাবা-মা, এক ভাই । মা ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে শয্যাশায়ী। ভাই শারীরিক প্রতিবন্ধি। পরিবারে নুন আনতে পান্তা ফুরায়। ১০ বছর বয়স থেকে বাবার হাত ধরে বিয়ে বাড়িতে বাজনা বাজিয়ে সংসারের হাল ধরেন শঙ্কু। এখন তিনি ৩৫। গত ২ বছরে করোনা পরিস্থিতিতে বিয়েবাড়িতে বাজনা বাজানোর ডাক পড়েই না। রোজগারেও টান। যেটুকু উপার্জন ছিল, তাও কলসির জলের মতো গড়াতে গড়াতে শেষের মুখে। এহেন শঙ্কুর জীবন এক লহমায় স্বপ্নের মতো হয়ে উঠল যেন। তবু ভয় এখনও মনে ....
লটারিতে এক কোটি টাকা পেয়ে গেলেন বিয়েবাড়ির বাজনাওয়ালা শঙ্কু ঋষি। আর তাতেই আবেগ আপ্লুত পরিবার।তার মধ্যেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া এই পরিবার। মালদার ইংরেজবাজারের বিনয় সরকার রোডের বাসিন্দা শঙ্কু।
ইদানীং সংসারের হাল ধরতেবাড়ির সামনে বিএস রোড এলাকায় রাস্তার ধারে একটি লটারির টিকিটের দোকান খোলেন শঙ্কু। সেখান থেকে প্রচুর টিকিট বিক্রি হচ্ছিল। গত কয়েকদিনে সারাদিন বৃষ্টির কারণে সোমবার তাঁর প্রচুর টাকার ক্ষতি হয়। এরই মধ্যে ডিয়ার লটারি খেলার বান্ডিল থেকে যায়। একবার টিকিটের বান্ডিল খোলা হয়ে গেলে সেই বান্ডিল আর এজেন্সি নেয় না। যার ফলে সেই বান্ডিলটি তাঁর কাছেই থেকে যায়। পরে হঠাত তাঁর নজরে পড়ে, সেই বান্ডিলের মধ্যেই ১ কোটি টাকা জেতা লটারি টিকিটটি আছে। এরপর তিনি কিছুক্ষণ কী করবেন ভেবে পান না। মন আনন্দে ভরে উঠলেও প্রকাশ করেননি। পরে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে থাকেন। শঙ্কু ঋষি জানান, '' বড্ড অনটন চলছিল। বাজনার বায়না নেই। পরিবারে টাকার দরকার ছিল। তাই দোকান দিয়েছিলাম। ভাবিনি সেখান থেকে আমার কপালেই লটারি লেগে যাবে !! খুব ভাল লাগছে কিন্তু নিরাপত্তাহীনতাতেও ভুগছি। এখন সরকারি নিয়মে টাকা পেলেই হল '' । নিজেকে সংযত রাখলেও চোখে মুখই প্রকাশিত শঙ্কুর হঠাত্ পাওয়া পুরস্কারের আনন্দ !!