দার্জিলিং: পাহাড় জয়ের লক্ষ্যে উন্নয়নের স্লোগানকেই মূল হাতিয়ার করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। পঞ্চায়েত এবং পুরভোটের আগে গুরুংদের রক্তচাপ আরও বাড়ালেন তিনি।


বিভিন্ন জনজাতির সামগ্রিক উন্নয়নে ইতিমধ্যেই পাহাড়ে ১২টি উন্নয়ন পর্ষদ গঠন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। রবিবার কার্শিয়ঙে উত্তরবঙ্গ উত্সবের সূচনা অনুষ্ঠানে ঘোষণা করলেন আরও নতুন তিনটি বোর্ডের। সেগুলি হল, গুরুঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদ, খাস উন্নয়ন পর্ষদ ও পাহাড়িয়া সংখ্যালঘু উন্নয়ন পর্ষদ।

মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা, উত্তরবঙ্গের সাতটি জেলায় পুলিশের উদ্যোগে আয়োজিত ফুটবল প্রতিযোগীতার বিজয়ীদের দেওয়া হবে সরকারি চাকরি।

পাহাড়ে এখনও পর্যন্ত পুরসভা, বিধানসভা কিংবা লোকসভা ভোটে জিততে পারেনি তৃণমূল। এই প্রেক্ষাপটে সামনেই পাহাড়ে পুর ও পঞ্চায়েত ভোট। সেদিকেই এখন পাখির নজর তৃণমূলের। আর তাই এদিনের সভা থেকে পাহাড়বাসীর উদ্দেশে সমর্থন চেয়ে স্পষ্ট বার্তাও দিয়েছেন মমতা। তিনি বলেন, পুরসভা, জিটিএ কোথাও আমরা নেই, তাও আমরা উন্নয়ন করেছি। আমাদের সমর্থন দিলে আরও করব। ঝগড়া-লড়াই করা যাবে না। পাহাড়ের সঙ্গে রিস্তা থাকবে বলেও জানান তিনি।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ব্যাখ্যা, লাগাতার পাহাড় সফর, পাহাড়ের বিভিন্ন জাতি-জনজাতির জন্য পৃথক পর্ষদ গঠন এবং উন্নয়নের মধ্যে দিয়ে গুরুংদের আধিপত্য খর্ব এবং তৃণমূলের ভিত্তি জোরালো করার চেষ্টা করছেন মমতা। এর সুফলও ইতিমধ্যেই পেতে শুরু করেছে তৃণমূল। গত বিধানসভা নির্বাচনের ফলের নিরিখে পাহাড়ে তৃণমূলের ভোটও অনেকটাই বেড়েছে। এই প্রেক্ষাপটেই পুর ও পঞ্চায়েত ভোটের ঠিক মুখে উন্নয়নের অস্ত্রেই গুরুংদের উপর রাজনৈতিক চাপ আরও বাড়ানোর চেষ্টা করলেন তিনি।