দার্জিলিং: দার্জিলিং রাজভবনে তখন সবে শেষ হয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক। সাংবাদিক বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তার ঠিক পরেই জ্বলে উঠল অশান্তির আগুন! জঙ্গি আন্দোলন শুরু করল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা।
বিমল গুরুং-রোশন গিরিরা অশান্তির পথে হাঁটলেও তিনি যে উন্নয়নের লক্ষ্য থেকে সরবেন না, মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরই পাহাড়ের জন্য উপহারের ডালি নিয়ে হাজির হয়েছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। বুঝিয়ে দিয়েছেন, যাই হোক, উন্নয়নের পথ থেকে সরবেন না তিনি। হাতিয়ার করেছেন পাহাড়বাসীর আবেগের সঙ্গে যাঁর নাম জড়িয়ে, সেই তেনজিং নোরগেকে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বছরে দুটো ক্যাবিনেট পাহাড়ে। উত্তরবঙ্গের দাবি ছিল সেক্রেটারিয়েট। তেনজিং নোরগে ভবন হবে। সার্কিট হাউসের পাশে কাজ ৬ মাসে শুরু হবে। উত্তরকন্যায় চিফ ইলেকট্রিক্যাল অফিসারের ব্রাঞ্চ হবে। পাহাড়বাসী এতদিন বঞ্চিত ছিল। আমরা চেষ্টা করছি।
সদ্য মিরিক পুরসভায় জয় পেয়েছে তৃণমূল। মিরিকের জন্যও এদিন বেশ কিছু ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, মিরিকে কলেজ করছি। স্কিল ডেভলপমেন্ট ক্যাম্পাস ইন্টারভিউ। দার্জিলিং-মিরিক নতুন বাস।
সরকার-মোর্চার এবারের সংঘাতের শুরুটা হয়েছিল স্কুলে বাংলা ভাষা নিয়ে। কয়েকদিন আগে মিরিকে দাঁড়িয়ে মমতা অভিযোগ করেন, মিথ্যাচার করছে মোর্চা। মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরও সেই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। জানিয়েছেন, যে প্রচার করা হচ্ছে, সেটা সঠিক নয়। বলেন, বাংলা আবশ্যিক নয়। নেপালিকে স্বীকৃতি দিয়েছে আমাদের সরকার। যা ইচ্ছে পড়ুক। বোর্ডে আসবে না। আমিও হিন্দি পড়েছি। লোকাল ল্যাঙ্গোয়েজ ইমপর্টেন্ট। ইস্যু নেই, তাই বর্বাদির ইস্যু।
পাহাড়ে মাঝেমধ্যেই ধস নামে। হতাহতের ঘটনা ঘটে। এদিন ধসে মৃত্যু হওয়া একজনের পরিবারের হাতে ২ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। বার্তাটা স্পষ্ট, পাহাড়বাসীর পাশে তিনি সর্বোতভাবে আছেন।