দার্জিলিং: অশান্তির কালো মেঘে ফের মুখ ঢাকল কাঞ্চনজঙ্ঘা! মোর্চার জঙ্গি আন্দোলনে আবার পাহাড়ে আগুন! আর এই অশান্তির জাঁতাকলে পড়ে বিপাকে পর্যটকরা।
এই মুহূর্তে পাহাড়ে আটকে হাজার হাজার পর্যটক!গরমে যখন নাজেহাল সমতল। স্বস্তির খোঁজে পাহাড়ে তখন মানুষের ঢল। কিন্তু বিক্ষোভের নামে মোর্চার জঙ্গিপনায় নিমেষে উধাও সেই স্বস্তি। বেড়াতে যাওয়ার আনন্দ এখন আতঙ্কে পরিণত হয়েছে। কার্যত হোটেল বন্দি পর্যটকরা। কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছে যান চলাচল।
ইতিমধ্যে শুক্রবার ১২-ঘণ্টা পাহাড় বনধের ডাক দিয়েছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। সকাল ৬টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত চলবে বনধ। ওই সময়ের মধ্যে কোনও পর্যটককে পাহাড় ছাড়তে দেওয়া হবে না। স্পষ্ট জানিয়ে দিল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। মোর্চা জানিয়েছে, যে সব পর্যটক পাহাড় ছাড়তে চান, তাঁদের তা করতে হবে সকাল ৬টার আগে। সকালে যাঁরা পাহাড় থেকে নামবেন না, তাঁরা সমতলে নামতে পারবেন সন্ধে ৬টায় বনধ শেষ হওয়ার পর। ফলে সব মিলিয়ে চরম বিপাকে পর্যটকরা।
এই পরিস্থিতিতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। নবান্ন সূত্রে খবর, যে সব পর্যটক ফিরে আসতে চাইছেন, অবিলম্বে তাঁদের ফেরত পাঠাতে, প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার পাহাড় থেকে ফেরার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাহাড়েই থাকবেন বলে জানা গিয়েছে।