দার্জিলিং: বিক্ষোভের নামে জঙ্গিপনা গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার। রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকের মধ্যেই মোর্চার আন্দোলনে অগ্নিগর্ভ পাহাড়। অশান্ত দার্জিলিং। পুলিশকে লক্ষ্য করে দফায় দফায় ইটবৃষ্টি, পুলিশের গাড়িতে আগুন। পরিসস্থিতি সামাল দিতে পুলিশের পাল্টা লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস। পাল্টা বনধের ডাক মোর্চার।
৪৫ বছর পর আজ পাহাড়ে বৈঠক করে রাজ্য মন্ত্রিসভা। দুপুরে দার্জিলিং রাজভবনে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ রাজ্যের অধিকাংশ মন্ত্রী। ছিলেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। বৈঠকস্থল থেকে কয়েকশো মিটার দূরেই ছিল মোর্চার কর্মসূচি। রাজ্য সরকারের লক্ষ্য যখন পাহাড়ের উন্নয়ন, তখন মোর্চার দাবি, আলাদা রাজ্য। মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষ হতেই পরিস্থিতি ক্রমে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। জায়গায় জায়গায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন মোর্চা সমর্থকরা। রাজ্য সরকার-বিরোধী স্লোগান দিতে শুরু করেন তাঁরা।
পুলিশ বাধা দিলে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। শুরু হয় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি। আহত হন বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী। পরিস্থিতি মোকাবিলায় লাঠিচার্জ করে পুলিশ। ফাটানো হয় কাঁদানে গ্যাসের সেল। পুলিশের চারটি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় মোর্চা সমর্থকরা। পুলিশের ১২টি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় মোর্চা সমর্থকরা।
মোর্চার জঙ্গি আন্দোলনের মুখে পড়ে পিছু হঠে পুলিশ। এরপর পরিস্থিতি মোকাবিলায় লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ। ফাটানো হয় কাঁদানে গ্যাসের সেল। রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে পাহাড়। আটকে পড়েছেন বহু পর্যটক।
মোর্চার এ ধরনের বিক্ষোভের নিন্দা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেনন, ইস্যু নেই, তাই ধ্বংসাত্বক আচরণ।  পাহাড়ের জন্য ভালো কাজ কেউ আটকাতে পারবে না।দার্জিলিংয়ের রাজভবনে জরুরি বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীকে ডাকল প্রশাসন। সেইমতো সন্ধ্যায় ২ কলাম (প্রায় ৮৬ জন) সেনা মোতায়েন করা হয় দার্জিলিঙে।
এদিকে, এর মধ্যেই শুক্রবার ১২-ঘণ্টার জন্য পাহাড় বনধের ডাক দিল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। মোর্চার বনধ ডাকায় বেড়াতে গিয়ে পাহাড়ে আটকে পড়েছে প্রায় দশ হাজার পর্যটক। তীব্র আতঙ্কিত তাঁরা।