জলপাইগুড়ি: বিজেপি টার্গেট করছে বাংলাকে। পাল্টা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিশানায় বিজেপি। জলপাইগুড়ির সভা থেকে নাম না করে গেরুয়া শিবিরকে আক্রমণ করে মুখ্যমন্ত্রী মঙ্গলবার বলেছেন, এখানে হিন্দু-মুসলমান সবাইকে নিয়ে চলতে হবে। এটাই বাংলার গর্ব, এটাই ভারতের শিক্ষা। ধর্মে বিশ্বাস করি, যা নিজের ধর্মকে ভালবাসে, অপরকে সম্মান করে।
নারদকাণ্ডে সুপ্রিম কোর্ট সিবিআই তদন্ত বহাল রাখার পর প্রথম জেলা সফরে বেরিয়ে নাম না করে বিজেপি ও মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক আক্রমণ জারি রাখলেন মমতা।
উত্তরপ্রদেশ জয়ের পর বিজেপির নজর এখন পূবে। দলের পশ্চিমবঙ্গের ভারপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেছেন, যেখানে যেখানে ভোট হচ্ছে সব রাজ্যই টার্গেট। বেঙ্গলও আমাদের টার্গেট। পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, বিজেপি বাংলাকে টার্গেট করায় তিনিও যে এখন পাল্টা বিজেপিকেই টার্গেট করছেন, তা এদিনের সভা থেকে বুঝিয়ে দিয়েছেন মমতা। তিনি বলেছেন, যাঁরা রাজনীতি করি তাঁদের সংবিধান অনুসরণ করে চলতে হবে। ধর্মীয় সুড়সুড়িতে মদত দেবেন না। আপনারাও উত্তেজিত হবেন না। কাজ করেন না, শুধু রাস্তায় নেমে জিজ্ঞাসা করে, তুমি হিন্দু না মুসলমান!মমতার নিশানায় নাম না করে কখনও বিজেপি, কখনও মোদী সরকার। বলেন, ৪০ হাজার কোটি টাকা ঋণের বোঝা সত্ত্বেও রাজ্য সরকার উন্নয়নের কাজ করছে। দিল্লি সরকার তো কিছুই দেয় না। শুধু কথা বলে বেশি।
জলপাইগুড়ি চায়ের জেলা। কিন্তু, সেখানেই অনেক চা বাগান বন্ধ, যা নিয়ে রাজ্য সরকারকে নিশানা করে বিরোধীরা। এ দিন এ নিয়েও পাল্টা বিজেপিকে দুষে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ওরা নির্বাচনের আগে বলেছিল, সাতটি চা বাগান অধিগ্রহণ করবে। একটাও করেনি। নির্বাচনের সময় এক কথা বলে পরে অন্য সময়।
এর আগে, এ দিন ট্যুইটারেও নাম না করে বিজেপি ও মোদী সরকারকে কটাক্ষ করে মমতা লেখেন, উত্তরপ্রদেশে যা হচ্ছে তাতে আমরা উদ্বিগ্ন। মানুষ ভীত। জাতি, বর্ণ, ধর্মের ভেদাভেদ নিয়ে যা হচ্ছে তাতে অনেকে সন্ত্রস্ত। ‘সব কা সাথ, সব কা বিকাশ’ - শুধু বললেই হবে না, করে দেখাতে হবে।
তবে বিজেপি এই সব অভিযোগ মানতে নারাজ। তাদের পাল্টা দাবি, তৃণমূল সরকারই বাংলায় সংখ্যালঘু-তোষণের রাজনীতি করছে।