উত্তর দিনাজপুর: উত্তর দিনাজপুরের সরকারি সভা থেকেও পিএনবিকাণ্ড নিয়ে মোদী সরকারকে নিশানা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, আচ্ছে দিন, যাচ্ছে দিন। বিজেপিকে শুধু খেতে দিন। এটাই কি স্বচ্ছ ভারত? শুধু জনগনের টাকা কেড়ে নাও। সরকারি মদতে ব্যাঙ্ক লুঠ হচ্ছে। ছাগল গরু গাছ খেয়ে নিলে মালিকের শাস্তি হয়। ব্যাঙ্কে টাকা রাখছে জনগণ। সেই টাকা লুঠ হচ্ছে। তা হলে এই সরকারের কী শাস্তি হবে?
পাল্টা সারদা-নারদ ইস্যুকে হাতিয়ার করে জবাব দিয়েছে বিজেপি। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, মানুষের নজর ঘোরাতে এত মাতামাতি। ওরা তো সারদা-নারদায় যুক্ত। ২০১১ সাল থেকে দুর্নীতির শুরু। তখন তো মমতা ইউপিএর সঙ্গে। উনি জবাব দিন।

একদিকে হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতিতে অভিযুক্ত নীরব মোদীরা গা ঢাকা দিয়েছেন, আরেক দিকে, সাধারণ মানুষের অবসর জীবনের বড় ভরসা, পিপিএফ-ইপিএফের সুদে কোপ। এ নিয়েও বৃহস্পতিবার, উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদের সরকারি সভা থেকে মোদী সরকারকে নিশানা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, যখনই টাকা লুঠ হচ্ছে তখনই মানুষের টাকা কেটে ব্যালান্স করছে পিএফ, ইপিএফের সুদ কমিয়ে দিচ্ছে। ডিএ বাড়ানোর নামে অন্যান্য খাতে সুদ কমাচ্ছে। বার্নপুরে বার্ন স্ট্যান্ডার্ড বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করছে। শ্রমিকদের রুটি রুজি বন্ধ করে দিচ্ছে। শুধু ভোট এলেই মানুষের দৃষ্টি ঘোরাতে হিন্দু-মুসলমান ভাবাভাগি করে। এরও পাল্টা জবাব দিয়েছে বিজেপি। দিলীপ ঘোষ বলেন, অর্থনীতি নিজস্ব নিয়মে চলে। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।
জেলা সফরের শেষ দিনেও বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ডাক দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার অভিযোগ, এই সরকারের আমলে সামাজিক, অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নেই। তিনি বলেন, এই সরকারের আমলে কোনও মানুষই সুরক্ষিত নয়। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে এটা রাজনৈতিক লড়াই নয়। মানুষের অর্থনৈতিক সামাজিক নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে লড়াই। উত্তরে দিলীপ ঘোষ বলেন, পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা বলে মনে হচ্ছে সুরক্ষিত নন। কারণ এ রাজ্যের লোকেরাই তো সুরক্ষিত নন।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে জেলা সফরে বেড়িয়ে প্রায় প্রতিটি সভা থেকেই গেরুয়া শিবিরকে নিশানা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাল্টা জবাব দিয়েছে বিজেপিও। এ দিনও তার অন্যথা হল না।