কলকাতা: গতবারের মতোই স্বরাষ্ট্র ও স্বাস্থ্য় দফতর নিজের হাতেই রেখে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়া উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন ও তথ্য-সংস্কৃতি সহ একাধিক মন্ত্রকের দায়িত্বে মমতা।
একাধিক মন্ত্রী যেমন আগের মন্ত্রকই পেয়েছেন, তেমনভাবে, অনেক মন্ত্রীর মন্ত্রকবদল করা হয়েছে। মন্ত্রিসভার হেভিওয়েটদের মধ্যে পার্থ চট্টোপাধ্যায় পেলেন শিল্প, বাণিজ্য, তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রক। সুব্রত মুখোপাধ্যায় পেলেন পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন এবং শিল্প পুনর্গঠন। তবে, এবছর শিক্ষা দফতর পেলেন ব্রাত্য বসু। অমিত মিত্র পেলেন অর্থ, পরিকল্পনা ও সংখ্যতত্ত্ব।
সোমবার কোভিড পরিস্থিতিতে সংক্ষিপ্ততম শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সকাল পৌনে ১১টায় শপথ নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃতীয় মন্ত্রিসভার ৪৩ জন সদস্য।
এদের মধ্যে ২৪ জন পূর্ণমন্ত্রী। সকলে একসঙ্গে শপথ নেন। স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী রয়েছেন ১০ জন। সকলে একসঙ্গে শপথ নেন। একইসঙ্গে শপথ নেন ৯ জন প্রতিমন্ত্রীও।
অসুস্থ থাকায় ভার্চুয়ালি শপথ নেন অমিত মিত্র। করোনা আক্রান্ত হওয়ায় ভার্চুয়ালি শপথ নিয়েছেন ব্রাত্য বসু ও রথীন ঘোষ।
অন্যদিকে, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, অমিত মিত্র, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সাধন পাণ্ডে, মানস ভুঁইয়া, ফিরহাদ হাকিম, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, অরূপ বিশ্বাস, অরূপ রায়, ব্রাত্য বসু, শশী পাঁজা, জাভেদ খানের মতো হেভিওয়েট বিধায়করা পূর্ণ মন্ত্রী হচ্ছেন এবারও।
রাজ্যের বিধানসভা আসনের নিরিখে সর্বোচ্চ মন্ত্রী হতে পারেন ৪৪ জন। মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে এবার মন্ত্রীর সংখ্যা ৪৪-ই হচ্ছে। গতবারের মন্ত্রিসভায় ৪১ জন মন্ত্রী ছিলেন।
এদিন নবান্ন সভাঘরে নতুন সরকারের প্রথম বৈঠকে মন্ত্রীদের দফতর বণ্টন হয়। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কে পেলেন কোন মন্ত্রক---
- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় - স্বরাষ্ট্র ও পার্বত্য বিষয়ক, কর্মীবর্গ ও প্রশাসনিক সংস্কার, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ, ভূমি- ভূমিসংস্কার ও উদ্বাস্তু পুনর্বাসন, তথ্য ও সংস্কৃতি, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী
মমতা-মন্ত্রিসভা (পূর্ণ মন্ত্রী)
- সুব্রত মুখোপাধ্যায় (পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্ননয়ন, শিল্প পুনর্গঠন)
- পার্থ চট্টোপাধ্যায় (শিল্প, বাণিজ্য, তথ্যপ্রযুক্তি, পরিষদীয়)
- অমিত মিত্র (অর্থ, পরিকল্পনা ও সংখ্যাতত্ত্ব)
- সাধন পাণ্ডে (ক্রেতা সুরক্ষা, স্বনির্ভর ও স্বনিযুক্তি)
- জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (বন ও অপ্রচলিত শক্তি)
- বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা (সুন্দরবন উন্নয়ন)
- ফিরহাদ হাকিম (আবাসন ও পরিবহণ)
- অরূপ বিশ্বাস (বিদ্যুৎ, ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ)
- সৌমেন মহাপাত্র (সেচ ও জলপথ পরিবহণ)
- মলয় ঘটক (আইন)
- স্বপন দেবনাথ (প্রাণীসম্পদ উন্নয়ন)
- মানস ভুঁইয়া (জলসম্পদ উন্নয়ন)
- উজ্জ্বল বিশ্বাস (কারা)
- অরূপ রায় (সমবায়)
- রথীন ঘোষ (খাদ্য ও গণবণ্টন)
- চন্দ্রনাথ সিন্হা (ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প, বস্ত্র)
- শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় (কৃষি
- ব্রাত্য বসু (স্কুল ও উচ্চশিক্ষা)
- পুলক রায় (জনস্বাস্থ্য কারিগরী)
- শশী পাঁজা (নারী ও শিশুকল্যাণ, সমাজ কল্যাণ)
- মহম্মদ গুলাম রব্বানি (সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও মাদ্রাসা শিক্ষা)
- বিপ্লব মিত্র (কৃষি বিপণন)
- জাভেদ খান (বিপর্যয় মোকাবিলা ও অসামরিক প্রতিরক্ষা)
- সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী (গণশিক্ষা ও গ্রন্থাগার)
মমতা-মন্ত্রিসভা (প্রতিমন্ত্রী- স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত)
- বেচারাম মান্না (শ্রম)
- সুব্রত সাহা (খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প ও উদ্যান পালন)
- হুমায়ুন কবীর (কারিগরী শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও কর্মদক্ষতা উন্নয়ন)
- অখিল গিরি (মত্স্য)
- চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (পুর ও নগরোন্নয়ন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, ভূমি ও ভূমি সংস্কার ও উদ্বাস্তু পুনর্বাসন)
- রত্না দে নাগ (পরিবেশ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, জৈব প্রযুক্তি)
- সন্ধ্যারানি টুডু (পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন, সংসদ বিষয়ক)
- বুলুচিক বরাইক (অনগ্রসর ও আদিবাসী উন্নয়ন)
- সুজিত বসু (দমকল)
- ইন্দ্রনীল সেন (পর্যটন ও তথ্য সংস্কৃতি)
মমতা-মন্ত্রিসভা (প্রতিমন্ত্রী)
- দিলীপ মণ্ডল (পরিবহণ)
- আখরুজ্জামান (বিদ্যুৎ)
- শিউলি সাহা (পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন)
- শ্রীকান্ত মাহাতো (ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প, বস্ত্র)
- সাবিনা ইয়াসমিন (সেচ, জলপথ পরিবহণ ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন)
- বীরবাহা হাঁসদা (বন)
- জ্যোত্স্না মাণ্ডি (খাদ্য ও গণবণ্টন)
- পরেশচন্দ্র অধিকারী (শিক্ষা)
- মনোজ তিওয়ারি (ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ)