কলকাতা: দেশে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে সোমবার বলেন, 'হাতজোড় করে অনুরোধ করছি, মানুষের জীবন নিয়ে খেলবেন না।' পরবর্তী ভোটগুলি একদিন বা দুদিনে করার অনুরোধ করেন তিনি।
পাশাপাশি এদিন সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আতঙ্কের কোনও কারণ নেই। করোনা মোকাবিলায় টাস্ক ফোর্স তৈরি করা হয়েছে। আতঙ্কে নয়, সচেতন থাকতে হবে। রাজ্যজুড়ে ৪০০ অ্যাম্বুলেন্স থাকবে করোনা আক্রান্তদের পরিষেবায়। ২০০ সেফ হোমে ১১ হাজার বেড রয়েছে। ছোট ছোট প্রচার সভা করা উচিত। বিভিন্ন হোটেলেও সেফ হোম তৈরি হবে। কাল থেকে স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি শুরু হবে।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, 'এখনই লকডাউন জারির কোনও পরিকল্পনা নেই। লকডাউন করলেই কি সব বদলে যাবে? লোকের অসুবিধা হবে না! নাইট কার্ফু করে কিছু হবে না। নাইট কার্ফু কোনও সমাধান নয়। ওয়ার্ক ফর্ম হোমে জোর দেওয়া হয়েছে। স্কুলগুলিতে ছুটি দেওয়া হয়েছে।'
দেশ জুড়ে বাড়ছে করোনা। পশ্চিমবঙ্গ সরকার রাজ্যের মানুষকে রক্ষা করতে সবরকমের ব্যবস্থা নিচ্ছে। এদিন সকালে টুইট করেও এমনটাই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যাপাধ্যায়। বর্তমান করোনা পরিস্থিতির কথা ভেবে রাজ্য সরকার স্কুলের গরমের ছুটি এগিয়ে এনেছে। আগামিকাল, মঙ্গলবার থেকেই সব স্কুল বন্ধের ঘোষণা করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে যাতে করোনা সংক্রমণে নিয়ন্ত্রণ রাখা যায়, তার জন্য কমিশনকেও ফের একবার ভোটে পরের দফাগুলি কমিয়ে আনার অনুরোধ করেন। মমতা বলেন অন্তত শেষ দু’টি দফা যদি একসঙ্গে করে দেওয়া যায় তাতেও কিছুটা হলে সংক্রমণ কমবে।
করোনা পরিস্থিতির কথা বিচার করে কলকাতা শহরে আর কোনও ভোট প্রচার কর্মসূচি করবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । শুধুমাত্র ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারের শেষ দিন ২৬ এপ্রিল তিনি একটি 'সিম্বলিক মিটিং' করবেন । করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে তিনি বিভিন্ন জেলায় তাঁর যাবতীয় কর্মসূচির সময় কমিয়ে ফেলছেন। শহরের বাইরে সমস্ত জনসভা ও কর্মসূচি আধ ঘণ্টার মধ্যেই শেষ করবেন বলে তৃণমূল সূত্রের খবর । গতকাল, রবিবার রাত ১১.৫৭ মিনিটেই এই বার্তা দিয়েছিলেন ডেরেক ও'ব্রায়েন।