কলকাতা: যে ভুবনেশ্বর থেকে বাংলা জয় করা তাঁদের টার্গেট বলে ঘোষণা করেছেন অমিত শাহ, মঙ্গলবার সেখানেই পাল্টা সফরে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নরেন্দ্র মোদীর পর সেখানে যাচ্ছেন তিনি। ওড়িশায় দলীয় সংগঠনকে চাঙ্গা করতে যাচ্ছেন তিনি। দেখা করবেন রোজভ্যালিকাণ্ডে বন্দি হাসপাতালে থাকা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। পুজোও দিতে পারেন পুরীর মন্দিরে।
ভুবনেশ্বরে চলা বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক শেষ হচ্ছে রবিবার। তার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই সেখানে পৌঁছচ্ছেন তৃণমূলনেত্রী।
সুদীপের গ্রেফতারির বিরুদ্ধে বার বার সরব হয়েছেন মমতা। তাঁর অভিযোগ, নোটবাতিলের প্রতিবাদে সুর চড়ানোতেই রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশে সুদীপকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সুদীপের সঙ্গে দেখা করে সহমর্মিতা যেমন জানাবেন, তেমনই দল যে তাঁর পাশে সেই বার্তাও দেবেন তৃণমূলনেত্রী।
২০১৬য় ডবল সেঞ্চুরি করে ক্ষমতায় আসার পর মমতার পাখির চোখ এখন দিল্লি। ২০১৯-এর লোকসভা ভোটকে টার্গেট করে, অন্যান্য রাজ্যেও সংগঠন তৈরিতে সক্রিয় হচ্ছে তৃণমূল। যেসব রাজ্যে কংগ্রেস বা অন্যান্য আঞ্চলিক দলগুলি দুর্বল, সেগুলির দিকেই এখন মমতার নজর। সেই মতোই গত মাসে ভুবনেশ্বরে দলীয় কার্যালয় খুলেছে তৃণমূল। একাধিক রাজনৈতিক কর্মসূচিও নেওয়া হয়েছে। দলীয় সূত্রে খবর, ভুবনেশ্বরে পৌঁছে রাজনৈতিক কর্মসূচির পাশাপাশি দলীয় নেতৃত্বকে চাঙ্গা করতে দাওয়াই দেবেন মমতা।


২১ এপ্রিল নেতাজি ইন্ডোরে তৃণমূলের সাংগঠনিক নির্বাচনের সমাপ্তি। প্রত্যাশিতভাবেই দলের সর্বভারতীয় সভানেত্রী হিসেবে ফের নির্বাচিত হবেন মমতা। সূত্রের খবর, এই সাংগঠনিক সভা থেকে দেশজুড়ে বিজেপি বিরোধী আন্দোলনের ডাক দেবেন তিনি। তার আগে যে ভুবনেশ্বরে বসে বঙ্গ জয়ের ডাক দিলেন মোদী, অমিত শাহরা, সেই ভুবনেশ্বরেই পাল্টা সফরে মমতা, রাজনৈতিক দিক থেকে যা যথেষ্ট তাৎ‍পর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে পর্যবেক্ষকদের একাংশ।