কলকাতা: বিতর্কের মধ্যে প্রায় ৪৩ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে রাজ্যে। এর মধ্যেই ফের নতুন করে টেট নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। সেই পরীক্ষায় বসার আর সুযোগ থাকছে না প্রশিক্ষণহীনদের। এমনটাই খবর শিক্ষা দফতর সূত্রে।


সূত্রের খবর, ২ দিন আগে সরকারের সঙ্গে টেট নিয়ে বৈঠক হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে, এ মাসের শেষে টেট-এর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তার জন্য আগামী সপ্তাহেই প্রকাশিত হতে পারে সরকারি আদেশনামা। শুধু প্রশিক্ষণ আছে যাঁদের, তাঁদেরই এই টেট-এ আবেদন করার সুযোগ থাকবে। এনসিটিই-র বিধি অনুযায়ী, টেট-এ বসতে প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক। এ রাজ্যের ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণের ছাড়ের সময়সীমা ছিল, তা পেরিয়ে গেছে ২০১৬-র ৩১ মার্চ। এই পরিস্থিতিতে নিয়ম অনুযায়ী, প্রশিক্ষিত আবেদনকারীদের নিয়েই পরীক্ষা নেওয়ার কথা ভাবছে সরকার।

এক সপ্তাহ আগে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছিলেন, নতুন করে টেট নেওয়ার কথা।

শিক্ষামন্ত্রীর এই ঘোষণার পর সেই শূন্যপদে নিয়োগের তোড়জোড় শুরু হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি জানিয়েছেন, সোমবার সরকারি আদেশনামা হাতে পাওয়ার কথা। তারপরই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে পর্ষদ।

রাজ্যে প্রাথমিকে টেট হয়েছে দু’বার।

২টি পরীক্ষায় বসেছিলেন প্রায় ৩৪ লক্ষ পরীক্ষার্থী। পর্ষদ সূত্রে খবর, নিয়োগপত্র দেওয়ার পরেও এখনও পর্যন্ত প্রায় ২৫ হাজার শূন্যপদ তৈরি হয়েছে প্রাথমিকে।

সূত্রে খবর, উচ্চ প্রাথমিকের ক্ষেত্রে একই নীতি নিতে চলেছে সরকার। অর্থাত্, অন্যান্য যোগ্যতার সঙ্গে প্রশিক্ষণও টেট-এ বসার শর্ত।