কলকাতা: সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা ভোটে যে সব পুলিশকর্তার কাজ প্রশংসিত হয়েছিল, তাদের পাঠাল হল কম গুরুত্বপূর্ণ পদে! আর পক্ষপাতিত্বের জন্য যাদের নির্বাচন কমিশন সরিয়ে দিয়েছিল, তাদের দেওয়া হল বাড়তি দায়িত্ব!
বিধাননগরে সুষ্ঠু ভোট করানোর জন্য পুলিশ কমিশনার জাভেদ শামিমের প্রশংসা করেছিল খোদ নির্বাচন কমিশন।
এ হেন শামিমকেই আর্থিক অপরাধ দমন শাখার অধিকর্তা করে পাঠানো হয়েছে। বিধাননগরের নতুন সিপি করা হয়েছে আইজি (পশ্চিমাঞ্চল) জ্ঞানবন্ত সিংহকে।
রিজওয়ানুরকাণ্ডে তৎকালীন বিরোধী দল তৃণমূল যে সব পুলিশকর্তার বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছিল, জ্ঞানবন্ত সিংহ তাঁদের মধ্যে অন্যতম।
কমিশনার বদল হয়েছে ব্যারাকপুরেও। নির্বাচনে ভাল কাজ করা নীরজ কুমার সিংহকে পাঠানো হয়েছে ইনটেলিজেন্স ব্রাঞ্চের (সীমান্ত) আইজি পদে।
তাঁর জায়গায় এসেছেন তন্ময় রায়চৌধুরী। তিনি উত্তর ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার ছিলেন। যদিও অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে উত্তর ২৪ পরগনার নতুন এসপি ভাস্কর মুখোপাধ্যায়ের কাজেও তদারকি করবেন তন্ময় রায়চৌধুরী। ভোটের আগে তাঁকে সরিয়ে দিয়েছিল কমিশন।
আসানসোলের ভোটের সময় সুনাম কুড়িয়েছিলেন পুলিশ কমিশনার সিদ্ধিনাথ গুপ্ত। কিন্তু তাঁকে সরিয়ে ওই পদে আনা হয়েছে কলকাতা পুলিশের জয়েন্ট সিপি ট্রাফিক লক্ষ্মী নারায়ণ মিনাকে। সিদ্ধিনাথ গুপ্তকে আইজি অর্গানাইজেশন করা হয়েছে।
বদলির একই ছবি শিলিগুড়িতেও। ভাল ভোট করিয়ে প্রশংসিত হওয়া মনোজ বর্মাকে কমিশনার পদ থেকে সরিয়ে, ডিআইজি ট্রাফিক করা হয়েছে। শিলিগুড়ির নতুন সিপি হয়েছেন চেলিং সিমিক লেপচা।
ভোট মিটতেই অপসারিত ভারতী ঘোষকে পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার পদে ফিরিয়ে এনেছিল রাজ্য সরকার।
এবার অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে তাঁকে দেওয়া হয়েছে ঝাড়গ্রাম পুলিশ জেলার দায়িত্ব। এ ছাড়াও আইপিএস-স্তরে আরও কয়েকটি রদবদল হয়েছে। আইজি পশ্চিমাঞ্চলের কাজও দেখভাল করবেন, আইজি দক্ষিণবঙ্গ অজয় মুকুন্দ রানাডে।
একইভাবে হুগলির পুলিশ সুপারের কাজে তদারকি করবেন ডিআইজি প্রেসিডেন্সি রেঞ্জ সুব্রতকুমার মৈত্র।