লকডাউন এর সময় রাজনৈতিক সভা গুলি বন্ধ থাকায় রীতিমতো বিপদে পড়েছিলেন বাপি। বাবা-মা স্ত্রীকে নিয়ে সংসার,অথচ লকডাউন এর জেরে বিক্রিবাটা ছিল বন্ধ। লকডাউন পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক সভা-সমিতি গুলি চালু হওয়াতে মুখে হাসি ফুটেছে বাপির। সেই হাসি আরেকটু চওড়া হয়েছে নন্দীগ্রামকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হওয়ায়।
তৃণমূল ছেড়ে শুভেন্দু অধিকারী যোগ দিয়েছেন পদ্ম শিবিরে। এরপরই কাঁথি, তমলুক, নন্দীগ্রাম ও পাশাপাশির বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়েছে তাঁর রোড শো এবং সভা। সেই সঙ্গে চলছে ঘাসফুল শিবিরের জবাবি সভাও। রাজনৈতিক হাইভোল্টেজ সবা মানেই চা বিক্রেতা বাপির পৌষমাস। বাপি জানিয়েছেন তৃণমূলের সভায় হাজার কাপ চা বিক্রি হয়েছিল, আর বিজেপির সভায় ৭০০ কাপ।
স্বাভাবিকভাবেই বাপির কথা শুনে তৃণমূলের দাবি, তাদের সভায় বেশি লোক হয়েছিল তাই চাও বেশি বিক্রি হয়েছে। আর বিজেপির কটাক্ষ, তৃণমূলের সভায় বেশিরভাগ বাইরে থেকে লোক আসায় তারা হাপিয়ে গিয়ে বেশি চা খেয়ে ছিলেন, নন্দীগ্রামের ঘরের লোক বেশি গিয়েছিল বিজেপির সভা তে তারা বাড়ি থেকে চা খেয়েই বেরিয়ে ছিলেন। চা পান নিয়ে চাপান-উতোরে অবশ্য বাপির খুব বেশি কিছু আসে যায় না। সভা-সমাবেশে লোক আনানোর দেখনদারি রাজনৈতিক দলগুলোর যত বাড়ে ততই লাভ হয় বাপির,মুখে হাসি ফোটে চা বিক্রেতার,স্বস্তিতে থাকে কামিলা পরিবারও। হাসতে হাসতে বাপি বলছেন " দিদি তো বলেছেন নন্দীগ্রাম থেকেই দাঁড়াবেন,শুভেন্দু ও ছেড়ে কথা বলার লোক নন। প্রচুর সভা হবে লোকজনও ভালই আসবে। ব্যবসাটা জমে যাবে বুঝলেন!"