কলকাতা: ফের রেফার রোগ। কাঠগড়ায় তিন-তিনটি সরকারি হাসপাতাল। প্রায় ২৬ ঘন্টা টানাপোড়েন শেষে এসএসকেএমে ভর্তি হলেন রোগী।
২২ জানুয়ারি, পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন শিলিগুড়ির বাসিন্দা রতনচন্দ্র শীল।তাঁর পায়ে গুরুতর আঘাত লাগে। রোগীর পরিবারের অভিযোগ, প্রথমে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও, মেলেনি সঠিক চিকিত্সা পরিষেবা। গতকাল সকাল ৬টায় এসএসকেএমে নিয়ে আসার পর শুরু হয় টানাপোড়েন। এসএসকেএম থেকে আরজি কর, শেষে এনআরএস থেকেও ফেরানো হয় রোগীকে। শেষপর্যন্ত আজ সকালে এসএসকেএমেই তাঁকে ভর্তি করা হয়। এনিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।


এর আগেও শহরে ফের দেখা যায়  রেফার রোগ! দুর্ঘটনায় আহত যুবককে ফিরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ৩টি সরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। গত ২১ জানুয়ারির ঘটনা। দুর্ঘটনায় আহত যুবককে ভর্তি করাতে নাজেহাল হয় পরিবার। কলকাতার তিন-তিনটি সরকারি হাসপাতালে দিনভর ঘুরেও মেলেনি বেড। শেষমেশ চিকিৎসা শুরু হয় ন্যাশনাল মেডিক্যালে। বেড খালি না থাকায় ভর্তি করা যায়নি, দাবি এসএসকেএম ও কলকাতা মেডিক্যালের। খোঁজ নিয়ে দেখার আশ্বাস এনআরএস কর্তৃপক্ষের।

উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটার বাসিন্দা ২৩ বছরের রাজু দাস গত ৩ জানুয়ারি পথ দুর্ঘটনায় আহত হন। তাঁর মাথা ও কোমরে আঘাত লাগে। পরিবারের অভিযোগ, দুর্ঘটনার দিন এসএসকেএমে নিয়ে এসেও আহত যুবককে ভর্তি করা যায়নি। এরপর গাইঘাটায় একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয় তাঁকে। ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত সেখানে চিকিত্‍সা চলে। কিন্তু আর্থিক সঙ্গতি না থাকায় পরিবার বাড়িতে নিয়ে যায় ওই যুবককে।

পরিবারের দাবি, বাড়িতে থাকার ফলে অবস্থা আরও খারাপ হয় রাজুর। বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ রাজুকে নিয়ে এনআরএসের উদ্দেশে রওনা হন তাঁরা। কিন্তু অভিযোগ, হাসপাতালে পৌঁছনোর পর বেড খালি নেই বলে ফিরিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। ফিরিয়ে দেয় এসএসকেএম হাসপাতালও। এরপর পরিববারের সদস্যরা আহত যুবককে নিয়ে যান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। রেফার করা হয় সেখান থেকেও। বাড়ি থেকে বেরনোর সাড়ে ৯ ঘণ্টা পর দুপুর ৩টে নাগাদ আহতকে ভর্তি করা হয় ন্যাশনাল মেডিক্যালে।

আহত যুবকের এক আত্মীয় মিন্টু বিশ্বাস জানান, ‘‘শেষ অংশ সারাদিন ধরে ঘুরেছি, ডাক্তাররা দেখেননি, এবিপি আনন্দ ছিল বলে ভর্তি করাতে পেরেছি ৷’’