সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: মতুয়া মহাধর্ম মেলার আয়োজন নিয়ে এবার মমতাবালা ঠাকুর ও শান্তনু ঠাকুরের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে। 


গতকালই মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি মমতাবালা ঠাকুর জানিয়েছেন, এ বছর করোনা পরিস্থিতির কারণে মতুয়া মহাধর্ম মেলা হচ্ছে না।  গাইঘাটা এলাকায় কয়েকজন করোনা আক্রান্ত হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত বলে জানান তিনি।


মেলার প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে থাকলেও গাইঘাটা এলাকায় কয়েকজন করোনা আক্রান্ত হওয়ায় মেলা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় মতুয়া মহাসঙ্ঘ। মঙ্গলবার দুপুরে সাংবাদিক সম্মেলন করে এ কথা জানালেন মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি মমতাবালা ঠাকুর। 


তিনি বলেন, গাইঘাটা এলাকায় কয়েকজন করোনা আক্রান্ত হয়েছে। মেলায় দূর-দূরান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষ আসেন৷ তারা করেনো আক্রান্ত হয়ে যেতে পারে। সে কারণেই এ বছর আমরা মেলা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিলাম। 


তিনি যোগ করেন, শারীরিক দূরত্বও মেনে ভক্তরা এসে পুজো দিতে পারেন৷ স্নান করতে পারেন৷ অবশ্যই মাক্স পড়ে আসতে হবে। মেলা বন্ধ রাখার জন্য বধুয়া ভক্তদের কাছে হাতজোড় করে ক্ষমা চান মমতাবালা ঠাকুর।


প্রসঙ্গত, করোনা ভাইরাসের কারণে গতবছরও মেলা বন্ধ রাখা হয়েছিল। করোনা পরিস্থিতির কারণে গত বছরও এই মেলা হয়নি। এবারও বন্ধ হওয়ার ঘটনায় ক্ষুব্ধ মেলার মাঠের ব্যবসায়ীরা।


যদিও আর এক সঙ্ঘাধিপতি শান্তনু ঠাকুর জানিয়েছেন, আগামী ৯ এপ্রিল, নির্দিষ্ট সময়েই মেলা হবে।  এই নিয়েই দু’তরফের সংঘাত বেধেছে।


এর আগে, গত ৩ তারিখ, অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের অভিযোগ,  কয়েকজন অসাধু ব্যক্তি মেলা ভণ্ডুল করতে সক্রিয়। তারাই মেলা নিয়ে অহেতুক বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।   


মতুয়া মহাসঙ্ঘের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্ম তিথিতে প্রতিবছর কামনা সাগরে স্নান করতে আসেন কয়েক হাজার ভক্ত। সে কারণে ঠাকুরবাড়িতে মেলা বসে। দূরদূরান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা এ মেলায় দোকান দেয়। 


প্রসঙ্গত করোনা মহামারীর জেরে গত বছর বন্ধ ছিল বারুণী মেলা। কিন্তু, এবার মতুয়া ঠাকুরবাড়ির দুই শিবিরই একসঙ্গে মেলা করতে চলেছে। এই প্রেক্ষিতে মেলা নিয়ে বিভ্রান্তি দানা বাঁধায় মতুয়া মহাসঙ্ঘের আরেক সঙ্ঘাধিপতি মমতাবালা ঠাকুরও জোর গলায় জানিয়ে দিয়েছেন, মেলা হচ্ছেই।