বীরভূম: সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইটে ফাঁদ পেতে একাধিক বিয়ে। নদিয়ার তরুণীকে সাড়ে ৮ লক্ষ টাকা প্রতারণা ও খুনের চেষ্টার অভিযোগ। বীরভূমে পাকড়াও গুণধর জামাই।
নদিয়ার তেহট্টের বাসিন্দা, বেসরকারি ব্যাঙ্কের কর্মী নির্যাতিতার দাবি, বছর খানেক আগে ফেসবুকে তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয় বীরভূমের সাঁইথিয়ার পাহাড়পুরের বাসিন্দা দিব্যেন্দু ঘোষের। নিজেকে পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়র বলে পরিচয় দেন দিব্যেন্দু।  ঘনিষ্ঠতা পরিণতি পায় বিয়েতে।
নির্যাতিতার অভিযোগ, বিয়ের পর পরই তাঁর ও তাঁর বাবার কাছ থেকে সাড়ে আট লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন অভিযুক্ত। একাধিকবার ইচ্ছার বিরুদ্ধে শারীরিক সম্পর্ক করারও অভিযোগ উঠেছে।
নির্যাতিতার অভিযোগ, তাঁকে মারধরও করা হত। আর শারীরিক নির্যাতন করাই শুধু নয়, জোর করে মহিলার গর্ভপাত করানো হয় বলেও অভিযুক্ত। শুক্রবার রাতে তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুনের চেষ্টাও হয়। নির্যাতিতা বলেন, আমাকে মারতে চেয়েছিল। কোনওক্রমে সিউড়ি থানায় অভিযোগ জানাই।
নির্যাতিতার অভিযোগ পেয়ে, শনিবার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, তদন্তে জানা যায়, একই কায়দায় আরও ৫ মহিলার সঙ্গে প্রতারণা করেছেন দিব্যেন্দু। বোলপুর আদালতে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ধর্ষণের দুটি মামলার চার্জশিটও জমা পড়েছে।
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ধৃত। তিনি বলেন, আমি নির্দোষ, তদন্ত হলে প্রমাণ হবে। ধৃতের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, ধর্ষণ, প্রতারণা-সহ একাধিক অভিযোগে মামলা রুজু হয়েছে।