উত্তর ২৪ পরগনা: বিজেপি নেতা মণীশ শুক্ল হত্যাকাণ্ডে আজ ব্যারাকপুর মহকুমা আদালতে চার্জশিট পেশ করল সিআইডি। চার্জশিটে সন্দেহভাজন হিসেবে ২ তৃণমূল নেতা প্রশান্ত চৌধুরী, উত্তম দাসের নাম রয়েছে।


প্রসঙ্গত, ব্যারাকপুর পুরসভার বিদায়ী চেয়ারম্যান হলেন উত্তম দাস। টিটাগড় পুরসভার বিদায়ী চেয়ারম্যান হলেন প্রশান্ত চৌধুরী। তদন্তের পরে ১২জনের বিরুদ্ধে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দেওয়া হয়েছে।


মণীশ-হত্যাকাণ্ডের ৮৭ দিনের মাথায় চার্জশিট পেশ করল সিআইডি। হত্যাকাণ্ডে ১০ অভিযুক্তের নামে সিআইডির চার্জশিট। চার্জশিটে আরও ১২ সন্দেহভাজনের নাম।


চার্জশিটে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে খুন, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, প্রমাণ লোপাটের ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত প্রতিক্রিয়া মেলেনি ২ তৃণমূল নেতার।


গত ৪ অক্টোবর, ভরসন্ধেয় টিটাগড় থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে খুন হন বিজেপির দাপুটে নেতা তথা ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের ঘনিষ্ঠ মণীশ শুক্লা। বিটি রোডের মতো ব্যস্ত রাস্তার ওপরেই তাঁকে একের পর এক গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয় দুষ্কৃতীরা।


এর আগে গত ১২ তারিখ সিআইডি সূত্রে দাবি করা হয়, এলাকা দখল ঘিরে রেষারেষি ও তোলাবাজি নিয়ে ঝামেলার জেরেই খুন হতে হয় বিজেপির স্ট্রংম্যানকে।


সিআইডি সূত্রে দাবি করা হয়, মণীশ হত্যাকাণ্ডে অন্যতম ষড়যন্ত্রী নাসির আলি মণ্ডলকে জেরা করে চাঞ্চল্যকর এই তথ্য হাতে এসেছে। খুনের পর থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল নাসির। পরে, কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।


গোয়েন্দাদের সূত্রে খবর, ধৃত নাসির দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর বাসিন্দা। সিআইডি সূত্রে খবর, ম্যারাথন জেরায় নাসির আলি জানিয়েছে, এলাকা দখল ও তোলাবাজি নিয়ে মণীশ শুক্লার শাগরেদদের সঙ্গে ঝামেলা হয় তাঁর। সেই রাগ থেকেই পথের কাঁটা মণীশকে সরাতে বাংলাদেশে বসে খুনের ছক কষে সে। জেলেই বন্ধুত্ব হয় সুবোধ সিংয়ের সঙ্গে। তার সঙ্গেই আলোচনা করে পরিকল্পনা সাজায় নাসির আলি। বিজেপি নেতাকে প্রাণে মারতে বিহার থেকে ৭ জন শার্প শ্যুটার নিয়োগ করে সুবোধ।


৮ অক্টোবর ঘটনার তদন্তে নেমে ব্যারাকপুরের ঘাটালের বাসিন্দা সুবোধ সিং ওরফে সুবোধ যাদবকে গ্রেফতার করে সিআইডি। অক্টোবরের শেষের দিকে পঞ্জাব থেকে গ্রেফতার করা হয় ৩ শার্পশ্যুটারকে।