কোচবিহার: সোশাল মিডিয়ায় দলনেত্রীর উপর অনাস্থা প্রকাশ কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়কের।


ফেসবুকে মিহির গোস্বামীর দাবি, তিনি দলের সাংগঠনিক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার ৬ সপ্তাহ পরেও দলনেত্রী যোগাযোগ করেননি। এর থেকেই স্পষ্ট, দলের ক্ষমতা দলনেত্রীর হাতে নেই।


ফেসবুকে তৃণমূল বিধায়কের এই পোস্ট ভাইরাল হতেই ফের শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। বিষয়টিতে গুরুত্ব দিতে নারাজ জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূল বিধায়কের মন্তব্য নিয়ে কটাক্ষের সুর বিজেপি শিবিরে। তারা জানিয়েছে, যদি তৃণমূল বিধায়ক বিজেপিতে আসতে চান, দরজা খোলা আছে।


এই সেই ফেসবুক পোস্ট---



কোচবিহার দক্ষিণের দলীয় বিধায়কের পাশে দাঁড়ালেন সিতাইয়ের তৃণমূল বিধায়ক। বলেছেন, দলের জেলা নেতৃত্ব মিহির গোস্বামীর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে। দলত্যাগ আটকাতে তাঁদের উচিত ওনার সঙ্গে কথা বলা।


এই প্রথম নয়। এর আগেও, মিহির গোস্বামীকে ঘিরে অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। সাম্প্রতিক অতীতে একাধিকবার বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। উস্কে দিয়েছেন দল ছাড়ার জল্পনাকেও।


২ অক্টোবর কোচবিহার জেলা তৃণমূলের ব্লক কমিটি ঘোষণা হয়। এরপরই অসন্তোষ প্রকাশ করে দলের যাবতীয় সাংগঠনিক পদ ছেড়ে দেন কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক। এরপরই তৃণমূল নিযুক্ত নির্বাচনী স্ট্র্যাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোরের কাজ প্রকাশ্যে কটাক্ষ করেন তিনি।


গত ২৯ অক্টোবর বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। তা নিয়ে বিতর্কও হয়। তারপর থেকেই আর তিনি প্রকাশ্যে আসেননি। তারপর জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশ তাঁকে বিধায়ক পদ ছাড়তে বলেন।


জবাবে  প্রকাশ্যে এসে মিহির বলেন, যাঁরা অন্য দল থেকে তৃণমূলে যোগদান করেছেন তাঁরা কী বিধায়ক পদ ছেড়েছেন?  তিনি জানান, মমতা বন্দ্যপাধ্যায় বললে এখনই বিধায়ক পদে ইস্তফা দিতে তিনি প্রস্তুত।


প্রসঙ্গত, ১৯৯৬-এ কোচবিহার উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রে কংগ্রেসের হয়ে জয়লাভ করেছিলেন মিহির গোস্বামী। পরে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। ২০১৬-তে তৃণমূলের তরফে কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রে জয়ী হন।