হাওড়া: হোমে নাবালিকাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ। হাতে পিন জাতীয় কিছু ফুটিয়ে লিখে দেওয়া হয়েছে নাম। কে বা কারা একাজের সঙ্গে যুক্ত, তা এখনও জানা যায়নি।


নির্যাতিতার পরিবার সূত্রে খবর, এক যুবকের সঙ্গে কিশোরীর প্রেমের সম্পর্কের কথা বাড়িতে জানাজানি হয়ে যায়। এ নিয়ে বাবা-মা বকাবকি করলে, গত ১৫ ডিসেম্বর বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় চুঁচুড়ার বাসিন্দা বছর সতেরোর ওই কিশোরী।


১৬ ডিসেম্বর হাওড়া স্টেশন থেকে তাঁকে উদ্ধার করে রেল পুলিশ। রাখা হয় একটি হোমে। করোনা পরিস্থিতিতে হোমে ১৪ দিনের আইসোলেশনে রাখা হয় কিশোরীকে। এরপর নিয়ম মেনে, গত ৪ জানুয়ারি তাকে তুলে দেওয়া হয় পরিবারের হাতে।


পরিবারের দাবি, বাড়িতে ফেরার পরই দেখা যায় কিশোরীর গায়ে বেশকিছু নাম খোদাই করা। কিশোরীর দাবি, হোমেই তাঁর ওপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালানো হয়।


এরপরই চুঁচুড়ার মহকুমা শাসকের দ্বারস্থ হয় কিশোরীর পরিবার। খবর পেয়ে হোমে পৌঁছে যান শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন।


কিশোরীকে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার আগে মেডিক্যাল টেস্টে কেন ধরা পড়ল না এই দাগ, তা নিয়েও নানা মহলে উঠছে প্রশ্ন।