উত্তর ২৪ পরগনা ও কোচবিহার:  জল খেতে চেয়ে, বাড়িতে ঢুকে তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ। উত্তর ২৪ পরগনার মছলন্দপুরে চাঞ্চল্য। গ্রেফতার ২। অন্যদিকে, কোচবিহার শহরের অদূরে স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। বিশ্বাসভঙ্গের যন্ত্রণা নিয়ে হাসপাতালের বিছানায় দুই নির্যাতিতা!
বছর ছাব্বিশের তরুণীর সঙ্গে স্বামীর বনিবনা হয়নি। চেয়েছিলেন নিজের পায়ে দাঁড়াতে। তাই, মছলন্দপুরের শক্তিনগরের বাসিন্দা এক বৃদ্ধার দেখভাল করতেন তিনি। অভিযোগ, বুধবার রাতে জনা তিনেক যুবক ওই বাড়িতে কড়া নাড়ে। দরজা খোলেন বৃদ্ধার নাতি। ঘরে ঢুকে যুবকরা তরুণীর কাছে জল খেতে চায়।
আপত্তি জানালে বৃদ্ধার নাতিকে বেধড়ক মারধর করে তারা। অভিযোগ, এরপরই হাত-পা-মুখ বেঁধে তরুণীকে ধর্ষণ করে তিন যুবক। মারের চোটে বাধা দিতে পারেননি বৃদ্ধার নাতি। ঘটনার পর বৃহস্পতিবার হাবড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়।
অন্যদিকে, যাকে দাদা বলে ডাকত এই নাবালিকা, তাঁর বিরুদ্ধেই উঠল ধর্ষণের অভিযোগ! নির্যাতনের ভয়াবহতায় বাকরুদ্ধ কোচবিহারের গোপালপুরের স্কুল ছাত্রী। অত্যাচারের কথা মনে পড়লেই আঁতকে উঠছে সে।
পরিবারের দাবি, সোমবার দুপুরে সে টিউশন পড়তে গিয়েছিল। বিকেলে সে যখন বাড়ি ফিরছিল, সেসময় তার পথ আটকায় প্রতিবেশী যুবক অমর দাস। অভিযোগ, জোর করে বাইকে তুলে নিয়ে গিয়ে, পাশের জঙ্গলে কিশোরীকে ধর্ষণ করে সে। নির্যাতিতার দাদা জানায়, নির্যাতনের পর ফেলে চম্পট দেয় অভিযুক্ত। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে।
শুক্রবার কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করে কিশোরীর পরিবার। যদিও এখনও ধরা পড়েনি অভিযুক্ত প্রতিবেশী যুবক। নির্যাতিতার চিকিৎসা চলছে কোচবিহার এম জে এন হাসপাতালে।
শরীর ও মনে একই যন্ত্রণা নিয়ে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে উত্তর ২৪ পরগনার মছলন্দপুরের এই তরুণীও। অভিযোগ, তিনি যাদেরকে তৃষ্ণার জল দিতে চেয়েছিলেন, তারাই গণধর্ষণ করে তাঁকে! আর কোচবিহারে অভিযুক্ত প্রতিবেশী দাদা।
বিশ্বাসভঙ্গের যন্ত্রণা নিয়ে হাসপাতালের বিছানায় দুই নির্যাতিতা!