কলকাতা: গত ঘূর্ণিঝড়ের থেকে শিক্ষা নিয়ে প্রস্তুতি। পানীয় জলের যোগান অব্যাহত রাখতে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গ মিলিয়ে মোট ২৮টি মোবাইল ট্রিটমেন্ট ইউনিট নামিয়েছে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর। দুর্যোগের দিনে প্রশাসনিকস্তরে সহায়তা পেতে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। 


আমফানের ক্ষত-য় সময়ের পলি সেভাবে জমেনি। মানুষকে এখনও কাঁদাচ্ছে করোনার বিষাক্ত আবহ। প্রতিকূল এই সময়ে মানুষের উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা বাড়িয়ে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় - ইয়াস। ২০২০-র ২০ মে। আমফানের সেই দিন, আফফানের কোল্যাটারাল ড্যামেজ হিসেবে, দক্ষিণবঙ্গের বহু এলাকায় পানীয় জলের সঙ্কট দেখা যায়। ইয়াস-আগমনে ঘনীভূত হচ্ছে সেই আশঙ্কা। 


তাই সঙ্কট সামাল দিতে অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর। ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতির পরেও পানীয় জলের যোগান অব্যাহত রাখতে, উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গ মিলিয়ে মোট ২৮টি মোবাইল ট্রিটমেন্ট ইউনিট নামিয়েছে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর। মোবাইল ট্রিটমেন্ট ইউনিট বা MTU আসলে ভ্রাম্যমান গাড়িতে লাগানো জল পরিশোধন যন্ত্র। এভাবেই কাজ করে মোবাইল ট্রিটমেন্ট ইউনিট। 


নদী, পুকুর-ডোবার অপরিশোধিত জল দ্রুত শোধন ও প্যাকেজিং করে বিতরণ করা সম্ভব বিশেষ এই প্রযুক্তির মাধ্যমে। গতবার আমফানে পানীয় জলের সঙ্কটে ভুগেছিল উপকূলবর্তী ৩ জেলা। এবার, ইয়াস আসার আগেই, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৪, উত্তর ২৪ পরগনায় ৪ এবং পূর্ব মেদিনীপুরে ৩টি মোবাইল ট্রিটমেন্ট ইউনিট পাঠানো হয়েছে। এছাড়া পানীয় জলের নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহ বজায় রাখতে আরও কিছু পদক্ষেপ করেছে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর। 


গোটা রাজ্যে সাড়ে ৩ হাজার ওভারহেড ট্যাঙ্ক আছে। বিদ্যুৎ বিপর্যয় হলে, জেনারেটরের সাহায্যে যাতে পাম্প চালানো যায়, তার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। জলের সরবরাহ বজায় রাখতে। এছাড়াও কলকাতা-সহ বিভিন্ন পুর-এলাকায় প্রাণধারা প্রকল্পে, পানীয় জলের বোতল ও পাউচ বেশি মাত্রায় উৎপাদন করা হচ্ছে। নিয়েছে দমকল বিভাগ। মঙ্গলবার থেকে রাজ্যে ১৫৪টি কন্ট্রোল রুম অ্যাক্টিভেট হচ্ছে। দমকলের ৫৪টি স্পেশাল টিম তৈরি হয়েছে। ২৭ তারিখ ভোর থেকেই এই ৫৪টি টিম পথে নামবে। এর মধ্যে উত্তর কলকাতায় ৪ ও দক্ষিণ কলকাতায় ১১টি টিম মোতায়েন হবে।


দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু জানিয়েছেন, দুর্যোগের দিনে প্রশাসনিকস্তরে সহায়তা পেতে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। রাজ্য সরকারের কন্ট্রোল রুমের নম্বর হল - ১০৭০, ০৩৩ - ২২১৪৩৫২৬। বিদ্যুৎ ভবনের কন্ট্রোল রুমের নম্বর - ৮৯০০৭৯৩৫০৩, ৮৯০০৭৯৩৫০৪। CESC-র হেল্পলাইন নম্বর - ০৩৩-৩৫০১ ১৯১২, ৪৪০৩ ১৯১২, ১৮৬০ ৫০০ ১৯১২, ১৯১২