প্রতিদিন ৮০ লক্ষের বেশি মানুষকে টিকা দিতে হবে, তবেই আটকানো সম্ভব তৃতীয় ঢেউ

ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্য়াণ মন্ত্রকের তরফে রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত রাজ্য়গুলিতে ইতিমধ্যেই ৩৭.০৭ কোটি ভ্যাকসিনের ডোজ পাঠানো হয়েছে। 

Continues below advertisement

নয়াদিল্লি: দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আপাতত নিয়ন্ত্রণে। তবে আশঙ্কা বাড়াচ্ছে করোনার তৃতীয় ঢেউ। বিশেষজ্ঞরা আগেই জানিয়েছেন, আগামী অগাস্ট থেকে সেপ্টেম্বরেই মধ্যেই আছড়ে পড়তে পারে করোনার তৃতীয় ঢেউ। আর তা রুখতে টিকাকরণের ওপরেই জোর দেওয়ার কথা বলছেন চিকিৎসকরা। 

Continues below advertisement

এ দিকে হিসেব বলছে, দেশে দিন প্রতি প্রায় ৮.৭ লক্ষ মানুষ করোনার টিকা পেলে তবেই তৃতীয় ঢেউ আটকানো সম্ভব। যদিও এই মুহূর্তে প্রয়োজনের তুলনায় টিকাকরণের হার অনেক কম বলেই জানা গিয়েছে।

হিসেব বলছে, দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ সামাল দিতে ডিসেম্বরের মধ্যে অন্তত ৬০ শতাংশকে টিকার দুটো ডোজ দেওয়া সম্পূর্ণ করতে হবে। অর্থাৎ প্রায় ১৩ লক্ষ দেশবাসীকে টিকা দিতে হবে ডিসেম্বরের মধ্যে। 

দেশে টিকারকণ চলছে। তবে প্রত্যাশিত সংখ্যার তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে। এখনও পর্যন্ত পাওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহের কিছুবেশি সময় ধরে দিনে মাত্র ৪০ লক্ষ মানুষ টিকা পাচ্ছেন। যেই সংখ্যাটা প্রয়োজনের তুলনায় প্রায় ৪৬ লক্ষ কম। গত রবিবারই দেশে মাত্র ১.৫ লক্ষ মানুষ টিকা পেয়েছেন। যা টার্গেট থেকে ৭.১ লক্ষ দূরে। 

তবে কেন্দ্রীয় সরকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্য়াণ মন্ত্রকের তরফে রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত রাজ্য়গুলিতে ইতিমধ্যেই ৩৭.০৭ কোটি ভ্যাকসিনের ডোজ পাঠানো হয়েছে। 

দ্বিতীয় ঢেউয়ের মতো মারাত্মক হবে না করোনার তৃতীয় ঢেউ। তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে টিকাকরণ, এমনই দাবি করা হয়েছে আইসিএমআরের তরফে। এখনও পর্যন্ত ১০ রাজ্যে মিলেছে করোনার 'ডেল্টা প্লাস' ভ্যারিয়েন্ট। পাশাপাশি আইসিএমআরের এপিডেমিওলজি বিভাগের প্রধান দাবি করেছিলেন করোনার 'ডেল্টা প্লাস' ভ্যারিয়েন্ট, ডেল্টার থেকে ভয়ানক- এমন প্রমাণও মেলেনি।

১১১ দিন পর দেশে  করোনায় সর্বনিম্ন সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় কমল দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের মঙ্গলবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৫৫৩ জনের।  একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৪ হাজার ৭০৩। দেশে এখনও পর্যন্ত করোনায় ৪ লক্ষ ৩ হাজার ২৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৬ লক্ষ ১৯ হাজার ৯৩২। দেশে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৪ লক্ষ ৬৪ হাজার ৩৫৭।  এরইমধ্যে করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়েছেন ২ কোটি ৯৭ লক্ষ ৫২ হাজার ২৯৪ জন। একদিনে সুস্থতার সংখ্যা ৫১ হাজার ৮৬৪।

উল্লেখ্য, ৩০ মার্চের পর গতকাল রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ ৯০০-র নিচে নেমেছে। সোমবারের হিসেব অনুযায়ী শেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ৮৮৫ জন, মৃত্যু হয়েছিল ১৮ জনের। পাশাপাশি একদিনে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৬৯৭ জন। সক্রিয় রোগীর কমে ৮৩০ জন, বাড়ল সুস্থতার হার। 

Continues below advertisement
Sponsored Links by Taboola