এবার ভোটে বাড়তি নজর ছিল নারায়ণগড়ের দিকে। কারণ, এটি জোটের অন্যতম কাণ্ডারী সূর্যকান্ত মিশ্রের কেন্দ্র। দীর্ঘদিন ধরে এই বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জিতছিলেন তিনি। এ বার প্রচারে গিয়ে সেই নারায়ণগড়ের মানুষের কাছে তৃণমূলকে জেতানোর জন্য আবেদন জানিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, সূর্যকান্ত মিশ্রকে হারান, যা চাইবেন তাই দেব। এদিন মমতা বলেন, কথা দিয়েছিলাম ডালের বড়া খেতে আসব, কথা দিয়েছিলাম সভা করতে আসব, সেই মতো এলাম।
প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তৃণমূল জিতলে নারায়ণগড়ে কাজ হবে। সেই মতোই সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা, ৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নারায়ণগড়ে তৈরি হবে তিনশো শয্যার মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতাল।
পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, এ বার ভোটের প্রচারে বিরোধীদের হাতে দুর্নীতি-সহ নানা ইস্যু থাকলেও, নির্বাচনী ফালফলে স্পষ্ট, মমতা সরকারের বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পের পক্ষেই মানুষ এ বার রায় দিয়েছে। এই প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রীও উন্নয়নমূলক প্রকল্পেই জোর দিচ্ছেন। এদিন মমতা বলেন, কন্যাশ্রী, খাদ্যসাথী, সবুজ সাথীর মতো কোনও প্রকল্প বন্ধ হবে না। কর্মই ধর্ম, কাজ করলে মানুষ পক্ষে ভোট দেয়। জনগণের বন্ধু-সরকার এমন কিছু করবে না যাতে জনগণের কোনও ক্ষতি হয়।
দীর্ঘ বেশ কয়েক বছর পর নারায়ণগড়ে এবার পালাবদল হয়েছে। জোটের অন্যতম মুখ, সূর্যকান্ত মিশ্রকে হারিয়েছেন তৃণমূলের প্রদ্যোৎ ঘোষ। নতুন বিধায়ককেও এ দিন সতর্ক করে দেন মমতা। তাঁকে নির্দেশ দেন, সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে। তাঁদের কথা শুনতে হবে।