রাজীব চৌধুরী, বহরমপুর: রেফার করা নিয়ে মুর্শিদাবাদের শক্তিপুরের সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক ও নার্সদের নিগ্রহের অভিযোগ উঠল রোগীর আত্মীয়দের বিরুদ্ধে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা থাকায় গতকাল দুপুরে শক্তিপুর ব্লক হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ভোল্লা গ্রামের বাসিন্দা ৪৫ বছরের মুর্শিদা বেগমকে। সন্ধে নাগাদ ওই রোগিণীকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে রেফার করা হয়।


অভিযোগ, রেফার করা যাবে না বলে হুমকি দিয়ে জরুরি বিভাগের ঘরের দরজা আটকে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও দুই নার্সকে বেধড়ক মারধর করেন রোগিণীর পরিজনেরা। আহত চিকিত্সক ও এক নার্সকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায়  ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে শক্তিপুর থানার পুলিশ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে উন্নত পরিকাঠামো থাকায় রোগিণীকে সেখানে রেফার করা হয়েছিল।


এর আগেও একাধিকবার চিকিৎসক নিগ্রহের একাধিক ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। করোনা আবহে তার প্রবণতা কমেছে এমনটা নয়। ফের চিকিত্সক নিগ্রহের অভিযোগ উঠল। দিনকয়েক আগে কলকাতাতেই চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগ ওঠে। এবার শহর পেরিয়ে জেলায়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, রোগীকে ভর্তি করার পর ধীরে ধীরে তার অবস্থা সঙ্কটজনক হয়। তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রোগীর পরিবার মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইছিলেন না। চিকিৎসকরা তাঁকে বলেন রোগীর ২৪ ঘণ্টা অক্সিজেনের প্রয়োজন তাই মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার। কিন্তু তাঁরা কোনও কথা না শুনে আক্রমণ করে বলে অভিযোগ।


কিছুদিন আগেই অসমের হোজাইয়ে কোভিড কেয়ার সেন্টারে রোগীমৃত্যুকে কেন্দ্র করে চিকিৎসককে বেধড়ক মারধরের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। এই ঘটনায় ২৪ জনকে গ্রেফতার করে অসম পুলিশ। গোটা ঘটনাকে বর্বরোচিত হামলা বলে বর্ণনা করেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। একই সঙ্গে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে জানান, ধৃতদের বিরুদ্ধে দ্রুত চার্জশিট দেওয়া হবে। বিচার পাবেন আক্রান্ত চিকিৎসক। অন্যদিকে এই ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের হস্তক্ষেপ দাবি করে চিঠি পাঠিয়েছে আইএমএ।